শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বছরের শুরুতে ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হবে। কাগজের সংকট নিয়ে ইতিমধ্যে বৈঠক করা হয়েছে।
আজ রাজধানী গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চের কাজী বশির মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২১ ও বইমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটি সারা বিশ্বের কাছে বিষ্ময়কর। আমাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানব উন্নয়ন সূচকের সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়েছে। একইভাবে আমাদের জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ তৈরির যে প্রচেষ্টা সেখানেও উন্নতি করেছি।
তিনি বলেন, আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, তখনও বর্তমান সরকার বই থেকে দূরে যাওয়ার কথা বলেনি। ঠিক তেমনি বইয়ের চাহিদার কারণে প্রকাশনা শিল্প গত কয়েক বছরে উন্নত ও আধুনিক হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট যারা রয়েছেন তারা আমাদের শিক্ষা পরিবারের সদস্য। তাদের এই আয়োজনে সাধুবাদ জানাই।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো. আরিফ হোসেন ছোটন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) সহসভাপতি কায়সার-ই-আলম প্রধান, শ্যামল পাল, মির্জা আলী আশরাফ কাশেম, ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান, মাজহারুল ইসলাম ও সাবেক সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ পুস্তক বাঁধাই মালিক সমিতি, নয়াবাজার পেপার মার্চেন্ট এসোসিয়েশন, পুরান ঢাকা কালি ব্যবসায়ী সমিতি, বাংলাদেশ মটরপার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতি ও ঘড়ি ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ।
সাধারণ সভায় উপস্থিত হয়ে প্রথমে এ উপলক্ষে আয়োজিত প্রদর্শনীমূলক বইমেলা উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি ছোটনসহ কর্মকর্তাগণ শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে মেলা পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে ‘প্রকশনা শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি ও আমাদের ভাবনা’ শীর্ষক লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল।
বার্ষিক সাধারণ সভায় বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পরিচালকগণ, দেশের ৬৪ জেলা ও উপজেলা শাখাসমূহের নেতৃবৃন্দ ও বিপুল সংখ্যক পুস্তক ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।