যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি লাল পতাকা দলের চরমপন্থী নেতা শুক্কুর আলী ও তার সহযোগিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শুক্কুর আলী (৫০) ও দিদার মিয়া (৪০)।তারা ডাকাতি, খুন ও রাহাজানিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। শুক্কুর আলী সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা থানার কামারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আমির হোসেন ওরফে ডাক্তারের পুত্র ও দিদার মিয়া একই এলাকার সিদ্দিক মিয়ার পুত্র।
র্যাব জানিয়েছে, এদের মধ্যে বিভিন্ন অপরাধে চরমপন্থী নেতা শুক্কুর আলীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা এবং দিদারের বিরুদ্ধে ১০ টি মামলা রয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে র্যাব-৩ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর অদূরে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শুক্কুর আলী জানান, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শুক্কুর আলী ও দিদার দলবল নিয়ে নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়িঁ থানার গোয়ালবাড়ী, আদমপুর এলাকার দেয়াল ভেঙ্গে একটি বাড়িতে প্রবেশ করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবাণ মালামাল লুট করে। এ সময় বাড়ির কর্তা মনোরঞ্জন সরকারের পুত্র বাঁধা দিলে তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। র্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার জানান, পরবর্তীতে খুনসহ ডাকাতির ঘটনায় খালিয়াজুড়ি থানার একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় ২০১৯ সালে শুক্কুর ও দিদারকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন আদালত। এরপর থেকে তারা দু’জন এলাকা ছেড়ে নারায়ণগঞ্জে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। তারা চরমপন্থি ও ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য বলে জানায় র্যাব।
আইনী প্রক্রিয়া শেষে গ্রেফতারকৃতদের সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা থানায় হস্থান্তর করা হচ্ছে বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তা।