ডেথ ওভারে বাংলাদেশের অন্যতম ভরসা হতে চান তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। বিশেষভাবে টি-টোয়েন্টিতে ডেথ ওভারে চাপে পড়ার কারণে এ দেশের কোন বোলারই ম্যাচে প্রভাব ফেলতে পারে না। তাই ভয়কে জয় করতে চান হাসান।
ডেথ ওভারে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে প্রচুর রান দিয়ে দেন বাংলাদেশের বোলাররা। এশিয়া কাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচটিই সর্বশেষ উদাহরণ। বোর্ডে বড় স্কোর করা সত্ত্বেও ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি বাংলাদেশ। ডেথ ওভারে বাজে বোলিংই ডুবিয়েছে টাইগারদের। ডেথ ওভারে পেসারদের ইয়র্কার দেয়ার ক্ষমতা না থাকার কারনে লংকানদের বিপক্ষে ম্যাচটি হাত থেকে ফসকে যায়। ঐ ম্যাচ জিতে সুপার ফোরের টিকিট পেয়ে শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের শিরোপাও জিতে নেয় শ্রীলংকা।
হাসান জানান, সাধারণত চাপে পড়লে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বোলাররা। এই আতঙ্ক বা ভীতি কাটিয়ে ওঠা অতীব জরুরী।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক পেসারেরই ডেথ ওভারে বল করার মানসিকতা থাকা দরকার এবং প্রত্যেকেরই ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হওয়া উচিত। আমরা অবশ্যই এসব নিয়ে কাজ করবো। আমাদের এই ভয় কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করতে এখানে কোচরা এসেছেন।’
আরও যোগ করে হাসান বলেন, ‘যখন আমরা চাপে পড়ি, তখন আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। এর একটি কারণ আমরা আমাদের ক্ষমতা-দক্ষতা ভুলে যাই। কিন্তু আমরা যদি এই ভীতি বা আতঙ্ক ফ্যাক্টর কাটিয়ে উঠতে পারি তবে আত্মবিশ্বাসের সাথে ইয়র্কার পরিকল্পনা আমাদের জন্য বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।’
হাসানের ছোট্ট ক্যারিয়ারে পাঁচটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইতোমধ্যেই নিজের প্রতিভা দেখিয়েছেন তিনি। হাসানকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে নিয়ে সেই বিশ্বাসের প্রমাণ দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
জিম্বাবুয়ে সিরিজে হাসানের দারুন বোলিংয়ের পরও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হেরে যায় বাংলাদেশ। তবে ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপের দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। তবে আগামী বিশ্বকাপে নিজের সেরাটা দেয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ^াসী হাসান।
২২ বছর বয়সী হাসান বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে সিরিজ খেলার পর আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি আমি। আমি এখন বিশ্বকাপ দলে আছি, তাই আমার লক্ষ্য দলের জন্য নিজের সেরাটা উজার করে দেয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইনজুরিতে পড়ার পরও আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে, জিম্বাবুয়ের পারফরমেন্স বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেতে আমাকে সহায়তা করবে। আর এটি যখন সত্যিই হয়েছে, এখন এটির প্রতিদান দেয়া আমার কর্তব্য।’