চট্টগ্রামে সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর নয় ল্যাবরেটরি এবং এন্টিজেন টেস্টে বুধবার ১৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৭ জনের মধ্যে শহরের ৬ ও হাটহাজারী উপজেলার একজন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৭৯৩ জনে। এর মধ্যে শহরের ৯৩ হাজার ৮৯৪ এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৮৯৯ জন। করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জন হয়েছে। এতে শহরের ৭৩৭ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, সরকারি পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৪৩টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের একটিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১০ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে হাটাহাজারীতে একজন আক্রান্ত বলে জানানো হয়। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে একমাত্র নমুনার রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ জন পজিটিভ হন। ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৮ জনের নমুনায় শহরের একজন আক্রান্ত বলে চিহ্নিত হয়। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১০ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে একজন করে করোনায় আক্রান্ত পাওয়া যায়।
এছাড়া, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৫, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ২৫, ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। চার ল্যারেটরিতে ৪৭ জনের নমুনার একটিতেও করোনার জীবাণু চিহ্নিত হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ৩ দশমিক ১২, শেভরনে ৪ দশমিক ৮৮, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫ দশমিক ৫৫, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ১০, এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৫০ ও এন্টিজেন টেস্টে ১০ শতাংশ এবং আরটিআরএল, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ০ শতাংশ।