শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে প্রায় ৪ লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার।
তিনি আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১’ বিস্তরনে অনলাইন শিক্ষক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শিক্ষায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে শিক্ষকদের প্রস্তুত করার জন্য প্রশিক্ষণের কোনও বিকল্প নেই এ কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রত্যেক শিক্ষককে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। একযোগে দেশের সকল শিক্ষককে একই ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যাতে প্রশিক্ষণ হাতে-কলমে গ্রহণ করার আগে নিজেদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, প্রশিক্ষণ নিয়ে শিক্ষকরা শিক্ষায় যে পরিবর্তন হচ্ছে তা বিশদভাবে জানার ফলে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবেন।
দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষাক্রমে যে পরিবর্তন আনা হচ্ছে, তাতে আমাদের প্রস্তুতিটাও ব্যাপক। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় যে বাঁধা আসবে, তা হলো- আমাদের মনোভাব, দৃষ্টিভঙ্গি, অভ্যাস।
দীপু মনি বলেন, ‘জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির যে বই হাতে পাবেন সেটিই একেবারে চূড়ান্ত তা কিন্তু নয়। এর উপর আরও কাজ করবার আছে। শিক্ষক প্রশিক্ষণে আরও পরিবর্তন নিয়ে আসবো। এটি অনেক বড় কাজ। তিনি বলেন, ‘শিক্ষায় আমরা পরিবর্তনের কথা বলছি না। সংস্কারের কথা বলছি না। শিক্ষায় রূপান্তরের কথা বলছি। দুই/তিন বছরের চেষ্টায় একেবারে নিঁখুত একটা পরিকল্পনা করে ফেলবো সেটা বলার দৃষ্টতা আমার নেই। তবে সবাই মিলে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবো এটি আমার বিশ্বাস।’
তিনি বলেন, এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে যদি সেই জায়গাটিতে আমরা পরিবর্তন আনতে না পারি, তাহলে আমাদের আকাঙ্খা সফল হবে না। সে জন্য আসলে কী চাইবো সেই জায়গায়টিতে কাজ করবার প্রয়োজন রয়েছে। সে জন্য প্রয়োজন মনোভাব পরিবর্তনের কাজটি জোর দিয়ে করা।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বক্কর ছিদ্দীক, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব কামাল হোসেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম।