শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন শিক্ষাক্রম থেকে ধর্মশিক্ষা বাদ দেওয়ার যে তথ্য ছড়ানো হয়েছে তা সঠিক নয়।
তিনি আরও বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে শুধু জ্ঞান নয়, ধর্ম, নীতিকথা, দক্ষতা, মূল্যবোধ-সঙ্কুচিত নয়, বরং প্রসারিত করার জন্য কাজ চলছে। ধর্ম শিক্ষাকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনে ‘ওরিয়ন ট্রেক উইথ নিশাত’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পুরো শিক্ষাব্যবস্থায় জ্ঞান-দক্ষতাকে প্রসারিত করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে যে মন্তব্য করা হচ্ছে তা একবারেই সঠিক নয়।
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘সরকারি, আধা সরকারি কিংবা কোন সংস্থা পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে আইন রয়েছে, তার নির্দেশনায় পরিচালিত হতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখতে হবে। তাহলে শিক্ষার যে উদ্দেশ্য সেই কাজও আমরা সঠিকভাবে করতে পারবো। এরজন্য যেন কোথাও ব্যত্যয় না ঘটে। শিক্ষায় আমাদের নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ফলে শিক্ষায় আমূল পরিবর্তন আনার চেষ্টা চলছে।’
তিনি বলেন, আমরা একুশ শতকের উপযোগী শিক্ষার ক্ষেত্রে যে অভীষ্ট লক্ষ্য ঠিক করেছি সেগুলো ২০৪১ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারবিরোধী স্বার্থন্বেষী একটি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা আর কোনো ইস্যু ন েেপয়ে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।