রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজ ছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত চার আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আসামিরা হলেন, মাহবুবুর রহমান টিটু, জুবের আলম খান রবিন, আরিফুর রহমান সোহেন ও খায়রুল ইসলাম।
বুধবার দু’দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত ঢাকা মেট্রোপলিট ম্যাজিষ্ট্রেট মামুনুর রশীদ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরআগে রোববার (৩১ জুলাই) আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের বিরুদ্ধে পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার। শুনানি শেষে ঢাকা অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) আসাদুজ্জামান নুর তাদের প্রত্যেকের দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
টিপুর হত্যার প্রধান সমন্বয়কারী সুমন শিকদার ওরফে মুসার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৩০ জুলাই রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে চার আসামিকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গত ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটা শো-রুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামের এক কলেজছাত্রীও গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হন টিপুর গাড়িচালক মুন্না।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের পর ওইদিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে টিপুর স্ত্রী অভিযোগ করেন, ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুর থানাধীন ২০২ উত্তর শাহজাহানপুর মানামা ভবনের বাটা শো-রুমের সামনে দুর্বৃত্তরা তার স্বামী জাহিদুল ইসলাম টিপুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে।