মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দু’টি মামলায় ২২ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন সম্পন্ন করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
আজ বুধবার ধানমন্ডির তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির সমন্বয়ক সানাউল হক।
সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত সংস্থার প্রধান সানাউল হক বলেন, যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানা ও কোতোয়ালী থানার ১৫ জনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, ধর্ষণ ও হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ মামলায় জব্দ তালিকার ২জন সাক্ষীসহ ৩৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। ১৫ আসামির মধ্যে গ্রেফতার ছয় আসামি হলেন, ডা. মো. লুৎফর রহমান (৭১), মো. খয়বার রহমান (৭০), মো. নুরুল ইসলাম ওরফে নুর ইসলাম (৬৮), মো. আবুল হোসেন বিশ্বাস (৬৮), মো, আবু বকর ওরফে আবু বক্কার মোল্লা (৬৯), ও মো. হোসেন আলী মোল্যা (৭২)। বাকিরা পলাতক। একারণে তাদের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
অপর প্রতিবেদনে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল ও কোতোয়ালী থানা এবং নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার ৭ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ মামলায় শহীদুল্লাহ, হাবিবুর রহমান ওরফে মেনু মিয়া (৮০), মো. আব্দুল হান্নান ওরফে হান্নান মুন্সি (৭০) গ্রেফতার আছেন। বাকি চার আসামি পলাতক থাকায় তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এসব আসামির বিরুদ্ধেও মুক্তিযুদ্ধের সময় লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় ৩১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।