চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা অবরোধ কর্মসূচী স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া কক্ষ ভাঙচুর, শাটল ট্রেনের চালককে অপহরণসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
চবি উপাচার্যের সভা কক্ষে আজ মঙ্গলবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।
অবরোধ প্রত্যাহার করায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে । আজ থেকে চলছে শাটল ট্রেন ও বাস। আগামীকাল বুধবার থেকে অনুষ্ঠিত হবে ক্লাস পরীক্ষা।
চবি উপাচার্য বলেন, ছাত্র সংগঠনের কমিটিতে পদ পদবি না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছিল। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেছি। আলোচনা সাপেক্ষে তারা অবরোধ থেকে সরে এসেছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা ভৌগোলিক অবস্থানের সুযোগ নেয়। কিছু হলেই শাটল বন্ধ করে দেয়। সাম্প্রতিক ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, তাদের সাথে আমরা আলোচনা করেছি। তারা অবরোধ প্রত্যাহার করেছে। অতীতেও শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকায় অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায়ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে ৩১ জুলাই রোববার মধ্যরাতে ঘোষিত হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। এর পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ চত্বরে প্রধান ফটক বন্ধ করে আন্দোলনে নামে পদবঞ্চিতরা। ৩২ ঘণ্টা ক্যাম্পাস অবরুদ্ধ থাকার পর শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের আশ্বাসে অবরোধ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজয় গ্রুপের নেতা ও উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক নয়ন চন্দ্র মোদক।