জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জেবিআইসি) বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, ও জ্বালানি খাতের নতুন-নতুন প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহী।
জাপানে সফররত বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে আজ টোকিওতে জেবিআইসি’র সদর দপ্তরে জেবিআইসি’র গভর্নর হাইয়াশি নবমিতসু এক বৈঠকে এ আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন। এ সময় তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থ সংশি¬ষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলো উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে জেবিআইসি’র অফিস থাকা প্রয়োজন। বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, বিতরণ, ভূগর্ভস্থ বিতরণ ব্যবস্থা, জিআইএস সাব-স্টেশন, চর বা দুর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা, স্মার্ট মিটার, ভাসমান সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ,বায়ু বিদ্যুৎ, সোলার গ্রিড, উচ্চ ক্ষমতার বিতরণ নেটওয়ার্ক প্রভৃতি উপখাতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারকে আমরা সকল সময় স্বাগত জানাই’।
জেবিআইসি’র গভর্নর বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের নতুন নতুন প্রকল্পে অর্থায়ন করার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন,‘এসব ব্যাপারে অনুমোদন প্রক্রিয়া আরো সহজ করা উচিত।’ বাংলাদেশে জাপানিজ কোম্পানি ও ব্যবসায়ীদের কাজ করার আগ্রহ বাড়ছে। জেবিআইসি’র অর্থায়ন বাংলাদেশে বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি জানান।
বৈঠকে গ্যাস মিটার, হরিপুর রি-পাওয়ারিং প্রকল্প, কয়েকটি কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল, এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, নবায়ণযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ ও অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা করা হয়।
উলে¬খ্য, ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে জেবিআইসি’র সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প ও কার্যক্রমে অর্থায়নই এই সমঝোতা স্মারকের মূল লক্ষ্য। সমঝোতা স্মারকের আওতায় এলএনজি এবং গ্যাস ভ্যালু চেইন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবিদ্যুৎ ও জ্বালানি দক্ষতা বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রভৃতি খাতের বিভিন্ন উপখাতে সহযোগিতা ও অর্থায়নের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।