পদ্মা সেতু দেশের খেলাধূলার জগতের নতুন স্বপ্নের দ্বার উন্মোচন করবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের(বিওএ) মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। বিশ্বের বিস্ময় এই পদ্মা সেতু নির্মানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে শাহেদ রেজা বলেন, ‘নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মত বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন আমাদেরকে দেখাচ্ছে বড় স্বপ্ন’।
আজ ২৫ জুন বহুল প্রতিক্ষীত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সেতু শুধু একটা কংক্রিটের অবকাঠামোই নয়, একটি জাতীয় স্বপ্নের বাস্তব রূপদান। তাই গোটা দেশের ন্যায় বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনেও উৎসবের আমেজ। বর্ণীল সাজে সাজানো হয়েছে অলিম্পিক ভবন। এছাড়াও বিওএ’র পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে মিস্টি ও খাবারও বিতরণ করা হয়।
প্রধœমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেই পদ্মা সেতুর পাশেই ক্রীড়াপল্লী ও অলিম্পিক কমপে¬ক্স নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই সেতুকে ঘিরে চলছে নানান নির্মাণযজ্ঞ, তাতে বাদ পড়েনি খেলাধূলাও। পদ্মার চরাঞ্চলে অলিম্পিক ভিলেজ নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়েছে। ১ হাজার একর জমিতে মাটি ভরাটের কাজ চলছে অলিম্পিক ভিলেজ নির্মাণের মহাপরিকল্পনা নিয়ে। আগরামী দিনে এই ক্রীড়াপল্লীতেই হবে ক্রীড়াবিদদের উন্নত প্রশিক্ষণ ও নিবিড় অনুশীলন। হবে নানান খেলাধূলার আয়োজন।
দক্ষিণ এশিয়ান গেমস (এসএ)আয়োজন করলেও এখন পর্যন্ত এশিয়ান গেমসের মত বড় ক্রীড়া আয়োজনের স্বাগতিক হতে পারেনি বাংলাদেশ।
পদ্মার পাড়ে ক্রীড়া পল্লী ও অলিম্পিক ভিলেজ হলে একদিন বাংলাদেশও বড় কোন বৈশ্বিক আসরের স্বাগতিক হতে পারবে প্রত্যাশা করে বিওএ মহাসিচব বলেন ‘পদ্মা সেতু আমাদেরকে বড় স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে। আর তা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বগুণের জন্য। পদ্মার চরে ক্রীড়া পল্লী ও অলিম্পিক ভিলেজ নির্মিত হলে আমাদের ক্রীড়াবিদরা সেখানে নিবিড় অনুশীলন করতে পারবে, তারা আগামীতে দেশের জন্য পদক সুনাম ও সম্মান বয়ে নিয়ে আসবে।’