শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য প্রণীত মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রোডাক্টিভিটি লেভেল ৩ দশমিক ৮। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এটিকে ৫ দশমিক ৬ এ উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ জাতীয় উৎপাদনশীলতা পরিষদ (এনপিসি)’র ১৮তম সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এনপিসি’র সহসভাপতি ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দও সভায় ভার্চুয়ালি যোগদান করেন। সভা সঞ্চালকের দায়িত্বপালন করেন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও)’র মহাপরিচালক মুহম্মদ মেজবাহুল আলম।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন আরো বলেন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও)’র সহায়তায় বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয় ও ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) প্রণীত ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি মাস্টার প্ল্যান ২০২১-২০৩০’ বাস্তবায়ন করতে হবে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনশীলতা বিষয়ে প্রচার প্রচারণা দরকার। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী সভা, সেমিনার, কর্মশালা, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় টিভিসি প্রচার এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় লেখা প্রকাশের ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে এ বিষয়টি নিয়ে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা যেতে পারে। এছাড়া, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা কারিকুলামে উৎপাদনশীলতা বিষয়ক কন্টেন্ট অন্তর্ভুক্তকরণের লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে হবে।
এনপিসি’র সহসভাপতি শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য শ্রমিকবান্ধব শিল্প পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। কর্মপরিবেশ উন্নত করতে হবে এবং কর্মচারী/শ্রমিকদের বেতন নিয়মিত পরিশোধ করতে হবে। উৎপাদনশীলতা বাড়লে মালিক, শ্রমিক সকলেই লাভবান হবে।
সভায় ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি এন্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড এবং ইনস্টিটিউশনাল এপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে সরকারি সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিকরণ, ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ, শিল্প, সেবা, কৃষিখাতে উৎপাদনশীলতা লেভেল নির্ধারণ, উৎপাদনশীলতা বিষয়ক আইনের খসড়া প্রণয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।