পুরো স্বাস্থ্যখাতকে ডিজিটাইজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘করোনা আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে অনলাইন প্রযুক্তি কতটা জরুরি ও কার্যকর একটি বিষয়। এ বিষয়টি অনুধাবন করেই এবার আমরা (স্বাস্থ্যখাত) পুরো স্বাস্থ্য বিভাগকে ডিজিটাইজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এটি করার জন্য কাগজপত্র প্রস্তুত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদিত হলেই আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে।’
আজ বৃহষ্পতিবার সকালে মহাখালীস্থ জাতীয় বক্ষ্মব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও নবনির্মিত আইসিইউ-২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, জাতির পিতার অবদানের ঋণ আমরা কখনই শোধ করতে পারবো না। জাতির পিতার জন্ম না হলে আমরা হয়তো আজ স্বাধীন জাতি হিসেবে কথা বলতে পারতাম না। জাতির পিতার এ দেশকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল, তিনি তাঁর সবটা দেখে যেতে পারেননি। তাঁর সুযোগ্য কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি নতুন দেশেই জাতির পিতা বেশ কিছু হাসপাতাল ও ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখন জাতির পিতার কন্যা দেশের গোটা স্বাস্থ্যখাতকে আধুনিক ও উন্নত বিশে^র ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশে^ ৫ম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ১ম হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বুদ্ধিমত্তার কারণেই।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশের মাত্র ৬ হাজার চিকিৎসা বেডকে এখন ৬০ হাজার বেডে পরিণত করেছেন। ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিয়েছেন গ্রামের মানুষের দোর গোড়ায়। সেখানে সাধারণ মানুষ এখন ৩০ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে পাচ্ছে। বর্তমানে গোটা চিকিৎসা সেবা ডিজিটাইজ করার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। এটি সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবার চিত্রই পাল্টে যাবে।
টিবি চিকিৎসা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিবিতে আগে দেশে বছরে ৭০ হাজার মানুষ মারা যেত। এখন সেটি কমে ৩০ হাজারে নেমেছে। তবে এই হার শুন্যের কোটায় নিয়ে আসতে সব রকম কার্যক্রম হাতে নিতে হবে এবং আরও পরিশ্রম করতে হবে।
জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মুঃ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্ম্দ খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম আবদুল আজিজ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম সাদি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সকালে হাসপাতালটিতে প্রবেশ করে প্রথমে ফুসফুস ও বক্ষব্যাধির জন্য উন্নত চিকিৎসার জন্য নবনির্মিত আইসিইউ-২ ইউনিটটি উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এরপর হাসপাতালটির মূল ফটকের পাশেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উন্মোচন করেন ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাহিদ মালেক।