রাজধানীর মিরপুরে স্টেশনারি দোকানদার কাজী জহুরুল ইসলাম বাবু হত্যা মামলায় এমদাদুল হক ওরফে গন্ডারকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়া রায়ে অপর তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত এমদাদুল হক গন্ডারের দু’ভাই শহিদুল্লাহ ও মনির এবং তাদের সহযোগী আজাদুল। এদের মধ্যে শহিদুল্লাহ পলাতক রয়েছেন। গন্ডারসহ অপর তিন আসামি কারাগারে । রায় ঘোষণার আগে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামী পক্ষের আইনজীবী মো. রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই সকাল ১১ টার দিকে স্টেশনারি দোকানী কাজী জহুরুল ইসলাম বাবুকে মিরপুরের মধ্য মনিপুর এলাকার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের ভাই কাজী তাজুল ইসলাম বাদি হয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২৬ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মিরপুর মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর ইমানুর হোসেন। এরপর আদালত চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। মামলার বিচার চলাকালে চার্জশিটভূক্ত ১৫ জনের মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।