ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার নেতৃত্বে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়।
রিটের পক্ষে অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব আদালতের আদেশের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, আদেশে আদালত, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে কি পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে তা নিরূপন করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়বদ্ধতা নির্ধারণে বিবাদীদের (রেসপনডেন্ট) নিস্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
ই-কমার্স নিয়ে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয় আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী হুমায়ূন কবির পল্লব, এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও আনোয়ারুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
ই-কমার্স বিষয়ে আলাদা আলাদা রিট করা হয়েছিল। প্রথমে ই-কমার্সের গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে ২০ সেপ্টেম্বর রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর ই-অরেঞ্জে কোটি কোটি টাকা আটকে থাকা ৩৩ গ্রাহক ডিজিটাল বা ই–প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তৈরির জন্য অর্থনীতিবিদ, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, ব্যবসায়ী ও অন্য অংশীজনদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করেন। আর ২২ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন, ইভ্যালি ও ই-ওরেঞ্জের দুজন গ্রাহকের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব আরেকটি রিট করেন।
এর আগেও ই-কমার্স নিয়ে উচ্চ আদালতে বিভিন্ন আদেশ হয়েছে।