বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামি ১৩ জুন অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার এই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ্য থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। পরে কেরানীগঞ্জ কারাগারে নবনির্মিত ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক এ এসএম রুহুল ইমরান নতুন এই দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বিষয়টি গণমাধ্যম’কে নিশ্চিত করেছেন।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় আসামি ছিলেন ১৩ জন। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এছাড়া আরেক আসামি ব্যারিস্টার আমিনুল হক মারা গেছেন।
ফলে বর্তমানে এ মামলার আসামি ১০ জন। তারা হলেন- বেগম খালেদা জিয়া, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার (মৃত), সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম (মৃত), মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রো বাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুদক-এর তৎকালীন সহকারি পরিচালক মো. সামছুল আলম। একই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসি’র সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি করা হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।