বিশ্ব কন্ঠ দিবসসহ প্রতিটি দিবসের উদ্দেশ্য হলো মানুষকে সচেতন করা। প্রত্যেককে তার কণ্ঠের ব্যবহারে আরো যত্মশীল হতে হবে,সে বিষয়ে জনসচেতনতা প্রয়োজন।
আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বিশ্ব কণ্ঠ দিবস উপলক্ষে নাক কান গলা বিভাগের উদ্যোগে শহীদ ডা. মিলন হলে আয়োজিত এক সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ’র সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন,কন্ঠের অবস্থা ভাল রাখতে সবাইকে সচেতন করতে উদ্যোগী হতে হবে।
মোবাইলে যত কম কথা বলা যায় ততই ভাল। অনুষ্ঠানে বিশ মিনিটের বেশী বক্তৃতা করা ভাল না। রাতে ঘুমানোর আড়াই ঘণ্টা আগে খাবার গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া কোন ৪০ বছর বয়সের ব্যক্তি যদি ১৫ দিনের বেশী গলা ভেঙ্গে থাকে তাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন,শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের একটানা বেশী জোরে কন্ঠের উপর চাপ দেওয়া ঠিক নয়। আস্তে আস্তে কথা বলা উচিত। কণ্ঠের যেকোন ধরনের সমস্যার সুচিকিৎসা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। কণ্ঠের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে যত ধরনের যন্ত্রপাতির প্রয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন তার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, খালি পেটে গরম পানি খেলে গলা পরিস্কার হলেও চোখের গ্লুকোমা হতে পারে। কিছু খেয়ে গরম পানি খাওয়া উচিত। কন্ঠের সুরক্ষায় ঠা-া পানি, এলকোহল পরিহার করার পাশাপাশি ঠিকমত কণ্ঠের ব্যবহারে আরো যত্মশীল হতে হবে সবাইকে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, নাক কান গলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আজাহারুল ইসলাম, কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট প্রকল্পের পরিচালক ও সিন্ডিকেট মেম্বার অধ্যাপক ডা. এইচএম জহুরুল হক সাচ্চু, অধ্যাপক ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী, অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদার, আবৃত্তি শিল্পী অধ্যাপক ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন বি ব্লকের সামনে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।