স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, "টিকা গ্রহনে দেশের মানুষের বিপুল চাহিদার কথা বিবেচনা করে গণটিকা কার্যক্রম আরো দুই দিন বৃদ্ধি করা হলো। এর মধ্যে ১ম, ২য় ও বুস্টার ডোজ দেবার কার্যক্রমও চলমান থাকবে।"
আজ শনিবার বিকেলে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের একটি অনুষ্ঠান থেকে অনলাইন জুম প্লাটফর্মে অংশ নিয়ে এক অনির্ধারিত প্রেস ব্রিফিং তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, "একদিনে এক কোটি টিকা দেয়া বিশ্বে একমাত্র দেশ সম্ভবত বাংলাদেশ। এর আগেও ৮০ লক্ষ ডোজ টিকা একদিনে আমরা দিতে সক্ষম হয়েছি। আজ (২৬ ফেব্রুয়ারী) যেভাবে দেশের সকল টিকা কেন্দ্রে মানুষের ঢল নেমেছে তা দেখে আমরা অভিভূত। আশা করা যায় আজ টিকা গ্রহনের সংখ্যা এক কোটি ডোজ ছাড়িয়ে যাবে।"
তিনি বলেন, টিকা গ্রহনে দেশের মানুষ এগিয়ে এসেছে বলেই বাংলাদেশ বিশ্বের ২০০ টি দেশের মধ্যে ১০ম অবস্থানে উঠে এসেছে। টিকায় দেশ সফল হয়েছে বলেই বাংলাদেশের জিডিপি এখন ৬ প্লাস হয়েছে, যেখানে অনেক দেশই মাইনাসে চলে গেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত ১১ কোটি ১ম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে এবং আজ এক কোটি হলে মোট ১২ কোটি ১ম ডোজ ভ্যাক্সিন দেয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে। এতে আমাদের লক্ষ্যমাত্রার ৯৫ ভাগ সম্পন্ন হবে।
দেশে একদিনে এক কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন দেয়াটা একটি বড় অর্জন এবং এই কাজে যে লক্ষাধিক স্বাস্থ্যকর্মী মাঠে কাজ করেছেন তাদেরকেসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর আহমেদুল কবীর সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এসময় ব্রিফিং এ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে যুক্ত ছিলেন।