বরগুনা জেলা সদরে কাঠপট্টি এলাকায় খাকদোন নদীর সিএস/আরএস অনুসারে সীমানা জরিপ করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জনস্বার্থে আনা এক রিটে প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত একটি ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই আদেশ দেন।
৬ সপ্তাহের মধ্যে বরগুনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং এসি ল্যান্ডকে এ নির্দেশ বা¯তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালত রুলও জারি করেছেন। রুলে জেলা শহরের কাঠপট্টি এলোকায় খাকদোন নদী দখল করে অবৈধভাবে মাটি ভরাট, দখল, নির্মাণ বন্ধে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তা কেন বে-আইনি ঘোষণা করা হবে না এবং নদী দখল করে মাটি ভরাট, দখল, নির্মাণ অপসারণ করার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ৪ সপ্তাহের মধ্যে এলজিআরডি ও পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), জেলা প্রশাসক ডিসি ও পুলিশ সুপার (এসপি) সহ সংশ্লিষ্ট ১২ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
খাকদোন নদী দখল করে অবৈধভাবে মাটিভরাট, দখল, নির্মাণ নিয়ে গনমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে পরিবেশ ও মানবিকতা বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) রিটটি দায়ের করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরশেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
এডভোকেট মনজিল মোরশেদ সাংবাদিকদের বলেন, আদালত রুল জারির পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেন। আদেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এইচআরপিবির দাখিল করা আবেদন ২ সপ্তাহের মধ্যে নিস্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং যদি প্রমাণ পাওয়া যায় যে, অবৈধ স্থাপনা রয়েছে তাহলে ২ সপ্তাহের মধ্যে আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করে জেলা প্রশাসকসহ বিবাদীদের (রেসপনডেন্ট) আদালতে প্রতিবেদন দাখিলে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া ৬ সপ্তাহের মধ্যে বরগুনার জেলা প্রশাসক ও সদর থানার ইউএনও এবং এসি ল্যান্ডকে সিএস/আরএস অনুসারে খাকদোন নদীর সীমান জরিপ করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিলে নির্দেশ দিয়েছেন।