করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) সফল করার জন্য জৈব সুরক্ষা বলয়ের পরিবর্তে ‘ম্যানেজড ইভেন্ট এনভায়রমেন্ট’ (এমইই) অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মেডিক্যাল বিভাগ।
গত বছর প্রথমবারের মত এমইই’র প্রচলন ঘটে টোকিও অলিম্পিকে। এটি দারুন ভাবে সফল হওয়ায় অনুপ্রানীত হয়ে বিবিসিও একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে যাচ্ছে। প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশিষ চৌধুরী বলেন,‘ টোকিও অলিম্পিকের আলোকে আমরা এই গাইডলাইনটি অনুসরণ করতে যাচ্ছি। বাংলাদেশের কথা মাথায় রেখেই আমরা টোকিও অলিম্পিকের গাইডলাইন বাস্তবায়নের চেস্টা করছি।’
আগে গোটা বিশ্ব জৈব সুরক্ষা বলয় ব্যবহার করেছে। তবে এখন সেই পদ্ধতি থেকে সরে এসেছে বিশ্ব। এখন ম্যানেজড ইভেন্ট এনভায়রমেন্ট (এমইই) ব্যবহৃত হচ্ছে, যা অ্যাথলেটদের মানষিকভাবে সতেজ রাখার জন্য প্রথম ব্যবহৃত হয়েছে টোকিও অলিম্পিকে। এমইই পদ্ধতিতে জৈব সুরক্ষা বলয়ের কঠোরতা অনেকটা নিরসন করা হয়েছে।’
করোনা পরীক্ষায় অনেকের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে এবং তাদেরকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেবাশিষ চৌধুরী। তিনি বলেন, এটি যেহেতু একটি স্পর্শকাতর বিষয়, তাই আক্রান্ত খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও স্টাফদের নাম এই মুহুর্তে প্রকাশ করা যাবে না।’
বাংলাদেশের অন্য আন্তর্জাতি সিরিজের মত এই টুর্নামেন্টটিও সফলভাবে সম্পন্ন করতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিসিবিকে সার্বিক সহযোগিতা করছে বলেও উল্লেখ করেন বিসিবির এই চিকিৎসক।
ডা. দেবাশীষ বলেন,‘ বিপিএল কমিটির নির্দেশনা মোতাবেক করোনা টেস্ট পরিচালনা করা হয়েছে। গত তিন দিনে আমরা প্রচুর টেস্ট করিয়েছি এবং এর ফল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
বহুদলীয় টুর্নামেন্টে অংশিজনই গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে। টুর্নামেন্টে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আমরা প্রটোকল তৈরি করে দিয়েছি। সেখানে নিয়মিত টেস্টেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ইচ্ছে করলে সেখানে টেস্ট করাতে পারবেন। তবে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মানতে হবে।’
রাজধানী ঢাকার বিভিন্নস্থানে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো তাদের জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে, যে কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার শংকা রয়েছে। বিপিএলের আগে এ ধরনের আয়োজনে কিছুটা সংশয় প্রকাশ করে দেবাশীষ বলেন, অংশিজনকে যতটুকু সম্ভব জনসমাগম পাশ কাটাতে হবে।
তিনি বলেন,‘ এখনো পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান আমরা পেয়েছি, তাতে বিপিএল আয়োজনে কোন ঝুঁকি নেই। তবে টুর্নামেন্টটিকে যদি সফলভাবে শেষ করতে চাই, তাহলে জনসমাগম এড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।’