রাজধানী ঢাকা কোভিড-১৯ সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল হিসাবে আবির্ভুত হয়েছে। দেশে মহামারীর নতুন তরঙ্গ আঘাত হানার পর স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সংক্রমণের হার ১১.৬৮ শতাংশ দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন। গতকাল এ হার ছিল ৮.৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) একজন মুখপাত্র বলেছেন, মহামারীর দ্বিতীয় তরঙ্গ শেষ হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।"
তিনি বলেন, রাজধানীতে ৮০ শতাংশেরও বেশি সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা শনাক্ত হওয়ায় ঢাকা করোনাভাইরাস আক্রমণের সবচেয়ে ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, "সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ায় আমরা দৃশ্যত নতুন করে আরেকটি আঘাত মোকাবেলা করতে যাচ্ছি।"
ওমিক্রন সংক্রমন রোধ করতে সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য ১১-দফা বিধিনিষেধ ঘোষণা করার একদিন পরে জাহিদ মালেক এ মন্তব্য করেছেন।
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভাইরাসটির ওমিক্রন সংক্রমন উত্থানের পরে সারা বিশ্ব থেকে সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশে প্রথম ওমিক্রন সনাক্ত হয়েছিল।
ডিজিএইচএস আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২,৯১৬টি কোভিড-১৯ সংক্রমন সনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় শুধুমাত্র ঢাকা ও জেলার অন্যান্য উপজেলাতেই ২,৩৭৬ টি সংক্রমন সনাক্ত হয়েছে। গতকাল সংক্রমণের হার ছিল ৮.৯৭ শতাংশ এবং আগের দিন ছিল ৮.৫৩ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সংক্রমণের হার টানা চার সপ্তাহের জন্য ৫ শতাংশের মধ্যে থাকলে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে বিবেচিত হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী, বাংলাদেশ গত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বিপদসীমার নিচে ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ গত ২৭ নভেম্বর, ২০২১ তারিখে অত্যন্ত সংক্রামক নতুন ওমিক্রন প্রাদুর্ভাবের পর বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন সতর্কতা জারি করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওমিক্রন সংক্রমণকে উদ্বেগজনক ভেরিয়েন্ট হিসাবে ঘোষণা করেছে।
মালেক বলেছেন, "আমাদেরকে প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে হবে।"
মন্ত্রী আরো বলেছেন, সরকার চলতি বছরের এপ্রিলের মধ্যে বুস্টার ডোজ সহ ২৮ কোটি ডোজ টিকা প্রদানের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
তিনি বলেন "আমরা প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিন পাচ্ছি যা দেশব্যাপী টিকাদার কর্মসূচি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করছে।