ব্রাহ্মণবাড়িয়া জগৎ বাজারের ব্যবসায়ি ও নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন ৫নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক হত্যা মামলায় ১৩ জনের মৃত্যুদন্ড ও ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া উত্তর পৌরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে জহিরুল হক নিজ গ্রাম পয়াগে ফিরছিলেন। পথে আসামি বসু মিয়া, হাবিবুর রহমান, শহিবুর রহমান ওরফে শুক্কি, কবির মিয়া, সাচ্চু মিয়া, মোখলেছ মিয়া, রুহান ওরফে বোরহান, শিথীল আহমেদ ওরফে ফাহিম আহমেদ, রহমত উল্লাহ ফারিয়াজসহ অন্য আসামিরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী দু’টি মোটরসাইকেলযোগে জহিরুলের সিএনজির পথরোধ করে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করেন। এ সময় আসামিরা সিএনজিচালক গোলাপ মিয়াকেও আঘাত করেন।
তার আর্ত চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং আসামিদের ধাওয়া করেন। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উত্তর পৌরতলা সিএনজি স্ট্যান্ডে থাকা লোকজনের সহায়তায় মোটরসাইকেল দুটিসহ আসামি শিথীল ও ফারিয়াজকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়।
জহিরুল হক ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই কবির হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা ২১ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরমধ্যে ১৬ জন কারাগারে এবং বাকি পাঁচ আসামি পলাতক।