কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে এগ্রিবিজনেসে বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের সকল ধরণের প্রণোদনা এবং সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। এগ্রিবিজনেসে দেশের ও বিদেশের উদ্যোক্তাদের সরকার সকল সুবিধা প্রদান করবে।
আজ হোটেল রেডিসন ব্লুর উৎসব হলে বিডা আয়োজিত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে ‘এগ্রিবিজনেস: গ্রোথ বাই ন্যাচার’ শীর্ষক সেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা সাধারণ জনগণ ও কৃষকের আয় বাড়াতে চাই। সেজন্য আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের সতেজ ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত করে দেশের ভিতরে বাজার বিস্তৃৃত করতে হবে। এটি করতে পারলে কৃষকেরা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পাবে, লাভবান হবে ও তাদের আয় বাড়বে। সেলক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী এবং দেশের শিক্ষিত তরুণদেরকে এগ্রিবিজনেসে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে কৃষিবিদ ড. রাজ্জাক আরও বলেন, দেশের রপ্তানি মূলত গার্মেন্টস নির্ভর, এটিকে আমরা বহুমুখী করতে চাই। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হলো দেশের কৃষিখাত। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের প্রচেষ্টায় গত ১২ বছরে কৃষি উৎপাদনে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জিত হয়েছে। সকল ফসলের উৎপাদন যেমন বেড়েছে, তেমনি অনেক ফসলে আমরা উদ্বৃত্ত। এসব ফসলের রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বৃদ্ধি এবং ভ্যালু অ্যাড করাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসিআই এগ্রিবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এফ এইচ আনসারি।
এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইয়ুম সরকার, ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের আঞ্চলিক শিল্প পরিচালক রানা কারাদশেহ-হাদ্দাদ ও সীমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ বক্তব্য রাখেন।