বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থতা ও সিনিয়র খেলোয়াড়রা না থাকলেও বাংলাদেশকে খাটো করে দেখছেন না পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। তার মতে নিজেদের কন্ডিশনে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল এবং তার প্রমানও তারা দিয়েছে। তাই প্রতিপক্ষকে সহজভাবে নেয়ার অবকাশ নেই।
বিশ্বকাপের আগে দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করে বাংলাদেশ। টাইগারদের কাছে নাস্তানাবুদ হওয়া এই অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডই শেষ পর্যন্ত বিশ^কাপের ফাইনাল খেলে।
বাবর আরও জানান, ঘরের মাটিতে বাংলাদেশ বিশ্বের যেকোন দলকে হারাতে পারে। তাই পাকিস্তানকে আত্মতুষ্টিতে না ভোগার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে আজ বাবর বলেন, ‘নিজেদের কন্ডিশনে সহজ প্রতিপক্ষ নয় বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক সময়ে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন করেছে তারা।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই তারা কিছু খেলোয়াড়কে মিস করছে, কিন্তু যারা দলে আছে, তারা সবাই বিপিএল খেলেছে এবং খুব ভালো করতে সক্ষম। আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে যে গতি পেয়েছি তা ধরে রাখতে চাই। একই সাথে, এখানে আমাদের বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করতে চাই এবং এই কারণেই আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের জন্য আমাদের ১২ সদস্যের দলে চারজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করেছি।’
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ধীরগতির ও নিম্নমানের পিচ প্রস্তুত করার জন্য প্রচুর সমালোচনার মুখে পড়েছিলো বাংলাদেশ। সাধারণত লো-স্কোরিং পিচ তৈরি করে বাংলাদেশ। এ বিষয়েও সর্তক বাবর।
ঢাকায় এবং বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গায় বা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলার অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বাবর জানেন, ম্যাচটি হাই-স্কোরিং হবে না। যেমনটা বিশ^কাপে সংযুক্ত আরব আমিরাতেও (ইউএই) অভিজ্ঞতার মতো।
বাবর বলেন, ‘আমি যা বুঝেছি তাহল- আমরা এখানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো হাই-স্কোরিং ম্যাচ পাবো না। আমাদের উইকেটের গুরুত্ব দিতে হবে এবং বোলারদের বুঝতে পারলে, ক্রিজে সেট হতে হবে। বিশ্বকাপেও আমাদের পরিকল্পনা ছিল উইকেট হাতে রাখা এবং পরে শেষ সাত বা আট ওভারে রান বাড়ানো।’
তিনি আরও বলেন, ‘চার/পাঁচ বছর আগে আমি বিপিএলে খেলেছি। আমি জানি এখানে উইকেট ধীর ও নীচু। তবে আমরা আমাদের পরিকল্পনায় অটুট থাকবো।’
বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে একটি খারাপ দিনের কারনে, সেমিফাইনালে হারতে হয়েছিলো পাকিস্তানকে। কিন্তুগত দুই বছরে এই ফরম্যাটে সবচেয়ে ধারাবাহিক দল পাকিস্তান। বাবর নিজেও ফর্মে আছেন এবং বিশ্বকাপেও তা অব্যাহত রেখেছেন। চারটি হাফ সেঞ্চুরিতে আসরের সর্বোচ্চ ৩০৩ রান করেছেন তিনি।
এই ফর্ম ধরে রাখার বিষয়ে আত্মুবিশ্বাসী বাবর বলেন, ‘আমি আমার নিজের ফর্ম সম্পর্কে বেশ আত্মবিশ্বাসী এবং এখানেও আরও ভাল করার চেষ্টা করবো। তবে আমি সবসময় শিখতে প্রস্তুত এবং প্রতিটি অনুশীলন সেশনে কিছু অতিরিক্ত সময় দেয়ার চেষ্টা করি।’
বাংলাদেশের জনগণের প্রশংসা করে বাবর বলেন, এখানে ভক্তদের কাছ থেকে যে সমর্থন পেয়েছেন, সেটি দুর্দান্ত।