ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের ভিয়েতনামে আরও বেশি হারে পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন।
বুধবার বাংলাদেশ সফররত বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সাথে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র পরিচালনা পর্ষদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনায় তিনি এ আহবান জানান।
ডিসিসিআইমিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন ভিয়েতনামের ৭ সদস্যের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসা পরিচালনায় সময় ও ব্যয় হ্রাসের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে বিশেষ করে পণ্য ওঠা-নামায় সময় হ্রাসের পাশাপাশি বন্দরের অন্যান্য সেবা দ্রুততম সময়ে নিশ্চিত করার প্রয়োজন।
প্রতিনিধিদলের সদস্যদের ডিসিসিআইতে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশের পণ্য আমদানি বিবেচনায় ভিয়েতনামের অবস্থান ১৮, তবে রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশটির অবস্থান ৪৪তম। তিনি জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭৩৯ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে আমাদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৬৭৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার এবং ৬১ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ডলার। শিল্পখাতে দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষনের পাশাপাশি বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে ভিয়েতনামের প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আহ্বান জানান তিনি।
ডিসিসিআই সভাপতি বাংলাদেশে ও ভিয়েতনামের ব্যবসা-বাণিজ্যের অধিকতর উন্নয়নে ঢাকা ও হ্যানয়ের মধ্যকার বিমান যোগাযোগ চালুর প্রস্তাব দেন।
সভার মুক্ত আলোচনায় ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীরা বলেন, নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত পাথর, ক্লিংকার, খাদ্যজাত পণ্য ও মশলা প্রভৃতি ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করতে পারে, সেই সাথে বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্য এবং ঔষধ ভিয়তনামে রপ্তানির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।