পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি বলেছেন, সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বয়ের মাধ্যমে কাঙিক্ষত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। বেসরকারি খাতের উন্নয়নে সরকার সবধরনের সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে।
চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্স (বিসিই)’র যৌথ উদ্যোগে ‘ব্লু ইকোনমি রিয়েলাইজিং দ্য পটেনশিয়াল অব মেরিন ফিশিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে পরিকল্পনা মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে আজ বিকেলে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত এ ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেরিন ফিশার্স এসোসিয়েশনের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ভাইস এডমিরাল (অব.) জহির উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং প্রকল্প পরিচালক (টেকসই উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মৎস্য প্রকল্প), মৎস্য বিভাগ খ. মাহবুবুল হক, ডিপ সি ফিশার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনাম চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ মেরিন সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম শাহ নেওয়াজ চৌধুরী।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি বলেন, বাংলাদেশে সব সেক্টরে এখন উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শত বছরের ডেল্টা প্ল্যানসহ বিভিন্ন ভিশন নিয়ে লক্ষ্য স্থির করেছেন যা পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমাদের অর্জিত সমুদ্রসীমায় মৎস্য, গ্যাস, তেল, খনিজসহ অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। এই সম্পদ যথাযথভাবে আহরণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, গবেষণা, তথ্য সংগ্রহ এবং বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি সমুদ্র অর্থনীতির সুফল আহরণে সকল পক্ষের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করেন।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আমাদের সমুদ্রসীমার প্রায় ৭১০ কি.মি. আয়তন-বিশিষ্ট দীর্ঘ উপকূল এবং ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কি.মি. সামুদ্রিক এলাকা নিয়ে বিরাজমান ব্লু ইকোনমিতে বাংলাদেশের বৃহৎ সম্ভাবনা রয়েছে যা সরকারিভাবে রূপকল্প ২০৪১ এ অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ব্লু ইকোনমিতে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ, বন্দর ও অন্যান্য লজিস্টিক সুবিধা সম্প্রসারণ, জাহাজ নির্মাণ, রিসাইক্লিং, পর্যটন ও মেরিন এনার্জি অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধনের মাধ্যমে অর্থনীতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা, সরকারি ও বেসরকারি যৌথ প্রচেষ্টার ভিত্তিতে বহু কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সামুদ্রিক মাছ আহরণ খাতে পরিকল্পিতভাবে বিনিয়োগ এবং নীতি সহায়তা প্রদান, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং মৎস্য রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে যা আমাদের অর্থনীতিতে আরও অধিক মাত্রায় অবদান রাখবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ মেরিন সায়েন্স’র সহযোগী অধ্যাপক ড. এম শাহ নেওয়াজ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মোট মৎস্য আমিষের ১৫ শতাংশ সামুদ্রিক মাছ থেকে আসে এবং জিডিপিতে এ খাতের অবদান ৩.৫ শতাংশ। এই অর্থনীতির সুফল পেতে সরকারিভাবে বিভিন্ন গবেষণা পরিচালিত হচ্ছে। তিনি এক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং একটি বিশেষ মেরিন প্ল্যান প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ওয়েবিনারে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে বণিক বার্তা এবং বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড অংশগ্রহণ করে।