নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার মিলানের সাথে রোববার সিরি-এ লিগে ১-১ গোলে ড্র করে টেবিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগটি হাতছাড়া করেছে এসি মিলান।
সান সিরোতে স্টেফিনা ভ্রিজের আত্মঘাতি গোলে সমতায় ফিরেছিল স্বাগতিকরা। এর আগে হাকান কানহানগ্লুর ১১ মিনিটের পেনাল্টিতে এগিয়ে যায় ইন্টার মিলান। উত্তেজনাকর ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হওয়ায় এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে দুই দলকে।
এর আগে দিনের শুরুতে ভেরোনার সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছিল নাপোলি। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে কালকের ম্যাচটি জিততে পারলে নাপোলিকে হটিয়ে শীর্ষস্থানে উঠতে পারতো এসি মিলান। স্টিফানো পিউলির দল এখন ১২ ম্যাচে নাপোলির সমান ৩২ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধান পিছিয়ে থেকে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ইন্টারের সংগ্রহ ২৫ পয়েন্ট।
ম্যাচ শেষে পিউলি বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি ম্যাচটি ছিল ডার্বি। যে কারনে খেলোয়াড়দের মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই বাড়তি উত্তেজনা কাজ করেছে। ইন্টার খুবই ভাল দল। আমরাও নিজেদের যোগ্যতার প্রমান দিয়েছি। সব মিলিয়ে এই ইতিবাচক পারফরমেন্সে আমি সন্তুষ্ট।’
যদিও কোন দলই ডার্বি পয়েন্ট ভাগাভাগি হওয়াতে তেমন একটা খুশী হতে পারেনি। ৫৭ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে ম্যাচটি আরো বেশী উপভোগ্য হবে বলেই আশা করা হয়েছিল। ম্যাচের শেষভাগে বদলী খেলোয়াড় এ্যালেক্সিস সালেমেকার্সের শট পোস্টে লেগে ফেরত আসলে হতাশ হতে হয় মিলানকে। ২৭ মিনিটে লটারো মার্টিনেজ ইন্টারের হয়ে দ্বিতীয় পেনাল্টির সুযোগটি মিস করেছেন। এই ম্যাচে বিশেষ করে ইন্টারের জন্য জয় প্রয়োজন ছিল। কারন বেশ খানিকটা পিছিয়ে থাকা ইন্টারকে শিরোপা দৌঁড়ে টিকে থাকতে হলে প্রতিটি ম্যাচই এখন গুরুত্বপূর্ণ। দুই শীর্ষ দলের থেকে সাত পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে সিমোন ইনজাগির দল।
ইনজাগি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে আজকের ম্যাচে সুযোগ আমরাই বেশী পেয়েছি, জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। মিলান ও নাপোলি দারুনভাবে এবারের মৌসুমে তাদের ছন্দ ধরে রেখেছে। কিন্তু এখনো সময় আছে আমাদের উপরে উঠে আসার। শেষ পর্যন্ত আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’
এদিকে ঘরের মাঠ দিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে ভেরোনাকে পরাস্ত করতে পারেনি স্বাগতিক নাপোলি। অথচ ম্যাচের শেষ ভাগে দুটি লাল কার্ডে নয়জনের দলে পরিণত হয়েছিল ভেরোনা। ৮৮ মিনিটে ড্যানিয়েল বেসা ও ইনজুরি টাইমে নিকোলা কালিনিচ লাল কার্ডেও কারনে মাঠত্যাগে বাধ্য হলে নাপোলির সামনে সুযোগ এসেছিল নিজেদের এগিয়ে নেবার। এর আগে ১৩ মিনিটে এন্টোনিও বারাকের লো ক্রস থেকে গিওভান্নি সিমিওনে ভেরোনাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। পাঁচ মিনিট পর নাপোলির হয়ে সমতা ফেরান গিওভান্নি ডি লোরেঞ্জো। উভয় অর্ধে নাপোলির দুই তারকা ভিক্টও ওসিমে ও ড্রিয়েস মার্টিনস দুটি শট পোস্টে লাগালে হতাশ হতে হয় স্বাগতিক দর্শকদের।
দিনের শুরুতে ভেনেজিয়ার কাছে ৩-২ গোলে পরাজিত হয়ে আবারো হতাশ করেছে রোমা। হোসে মরিনহোর দল এনিয়ে ১২ ম্যাচে পঞ্চম পরাজয়ের স্বাদ পেল। ম্যাচের তিন মিনিটে মাত্তিয়া কালডারার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিক ভেনেজিয়া। এলডর শোমুরোডো ও টামি আব্রাহামের গোলে বিরতির আগেই ২-১ ব্যবধানের লিড পায় রোমা। ৬৫ মিনিটে স্পট কিক থেকে মাত্তিয়া আরামু সমতায় ফেরানোর পর রোমাকে আর মাঠে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ম্যাচ শেষের ১৬ মিনিট আগে ডেভিড ওকারাকের দারুন ফিনিশিংয়ে ভেনেজিয়ার জয় নিশ্চিত হয়।
এনিয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় গত সাত ম্যাচে চতুর্থবার পরাজিত হলো রোমা। ১২ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে হোসে মরিনহোর দল সিরি-এ টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।