ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে এবার প্রতিবেশী ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এই পরাজয়ে ইউনাইটেড বস ওলে গানার সুলশারের ভবিষ্যত নিয়ে আরো একবার শঙ্কা তৈরী হলো।
এরিক বেইলির আত্মঘাতি গোল ও বার্নান্ডো সিলভার স্ট্রাইকে বিরতির আগেই ২-০ গোলের লিড পায় ইউনাইটেড। দুই সপ্তাহ আগে লিভারপুলের কাছে এই মাঠেই ৫-০ গোলের ব্যর্থতা থেকে খারাপ কিছু হয়নি, দিনশেষে এটাই সান্তনা ছিল সুলশারের শিষ্যদের। গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া কাল সিটির বিপক্ষে ব্যবধান বাড়তে দেননি। শেষ ম্যাচে টটেনহ্যামের বিপক্ষে এ্যাওয়ে ম্যাচে অবশ্য ৩-০ গোলের জয়ে সুলশার নিজের উপর কিছুটা হলেও চাপ কমিয়েছিলেন।
শেষ ৬টি প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে মাত্র একটিতে জয়ী হয়েছে ইউনাইটেড। যে কারনে শীর্ষে থাকা চেলসির তুলনায় ৯ পয়েন্ট পিছিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থান নিয়েই আপাতত তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।
দিনের আরেক ম্যাচে বার্নলির সাথে স্ট্যামফোর্ড ব্রীজে ১-১ গোলে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে চেলসি। ৩৩ মিনিটে কেই হাভার্টজের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ব্লুজরা। ৭৯ মিনিটে চেক প্রজাতন্ত্রের ফরোয়ার্ড মাতে ভিড্রার
গোলে সমতায় ফিরে বার্নলি।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সুলশার স্পার্সদের বিপক্ষে জয়ের কৌশলই অবলম্বনই করতে চেয়েছিলেন। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারনে কাল দলে ছিলেন না নির্ভরযোগ্য সেন্টার- ব্যাক রাফায়েল ভারানে। বুধবার আটালান্টার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েন এই ফরাসি ডিফেন্ডার। কিন্তু তারপরেও একই কৌশলে খেলতে
নামাটা সুলশারের সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হয়ে দেখা দেয়। এবারের মৌসুমে প্রথমবারের মত মূল দলে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন বেইলি। ম্যাচের ৭ মিনিটে হুয়ান ক্যান্সেলোর ক্রসে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে বেইলি নিজের জালেই বল জড়ালে আত্মঘাতি গোলের লজ্জায় পড়ে ইউনাইটেড। ইউনাইটেডের ফিরে আসার পর ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর খেলা ১৩টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র পাঁচটিতে জয়ী হয়েছে রেড ডেভিলসরা। সিটির বিপক্ষে ৩৬ বছর বয়সী এই পর্তুগীজের ওপর মূল ভরসা করেছিল ইউনাইটেড। রোনাল্ডোর নায়কোচিত পারফরমেন্সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখনো টিকে আছে ইউনাইটেড। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগে শেষ ৬টি ম্যাচে করেছেন মাত্র একটি গোল। প্রথমার্ধে তার একটি দুর্দান্ত ভলি অসাধারণ দক্ষতায় রুখে দেন সিটি গোলরক্ষক এডারসন। ফিরতি বল খালি পোস্টে জড়াতে ব্যর্থ হন ম্যাসন গ্রীনউড। পুরো ম্যাচে দারুন ব্যস্ত ছিলেন ডি গিয়া। একে একে তিনি গ্যাব্রিয়েল জেসুস, ক্যান্সেলো ও কেভিন ডি ব্রুইনাকে হতাশ করে কার্যত সিটিকে এগিয়ে যেতে দেননি। যদিও সিটির দ্বিতীয় গোলের পিছনে ডি গিয়ার ব্যর্থতাকেই দায়ী করা হয়েছে। ক্যান্সেলোর ক্রস থেকে ৭৯ মিনিটে সিলভার শট আটকাতে পারেননি ডি গিয়া।
এই জয়ে চেলসির থেকে তিন পয়েন্ট পিছিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।