শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় রমজান মাসের আগেই চিনির বাজারে মুল্য পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় সবধরনের ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় এ সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সদস্য শিল্প মন্ত্রী নূরুঈড়ল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, এ. কে এম ফজলুল হক, মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান, কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ এবং পারভীন হক সিকদার সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারের মজুদ ও পিক সিজনে নিরবচ্ছিন্নভাবে সার বিতরণের জন্য পদক্ষেপসমূহ, চিনি শিল্পের এনভয়রনমেন্ট ফ্রেন্ডলি কেইন সুগার ইন্ডাস্ট্রিস স্থাপন প্রকল্প বেস্ট সুগার প্রোডাকশন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া বাজারে চিনির দাম ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের করণীয়, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কারখানাসমূহের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, বিসিকের চলমান ও প্রস্তাবিত প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতিসহ বিএসইসির বাস্তবায়াধীন রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থায় জনবল নিয়োগের বিষয়েও পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় রমজান মাসের আগেই বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরাসরি চিনি আমদানী করা এবং চিনি শিল্পকে ঢেলে সাজানোর জন্য চিনি শিল্পে অতিরিক্ত জনবল ছাঁটাই করার সুপারিশ করা হয়। আসন্ন পিক সিজনে নিরবচ্ছিন্নভাবে যাতে সার বিতরণ করা যায় সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কারখানা মালিক ও বাফার ইনচার্জদের সাথে সমন্বয় সভা করে সার্বিক কাজ ত্বরান্বিত করা হয়েছে বলে সভায় কমিটিকে অবহিত করা হয়।
সভায় জানানো হয়, বিএসইসি থেকে এ পর্যন্ত ৫৩টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এর মধ্যে ৭টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট ৪৬টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে বলে কমিটিকে জানানো হয়। এছাড়া কমিটি ঢাকা স্টীল এবং ব্লেড ফ্যাক্টরী (সোর্ড ব্লেড) জরুরি ভিত্তিতে উৎপাদনে যাওযার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি জোর সুপারিশ করে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানগণসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।