গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইয়াহু ও আমাজানসহ অন্যান্য ইন্টারনেট-ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বকেয়াসহ রাজস্ব আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ৮ নভেম্বর দেয়া হাইকোর্টের এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি আজ বৃহস্পতিবার ২৮ অক্টোবর প্রকাশ করা হয়েছে।
১৪৫ পৃষ্ঠার এই রায় সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিল সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ে গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইয়াহু, আমাজানসহ অন্যান্য ইন্টারনেট-ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিজ্ঞাপন, ডোমেইন বিক্রি, লাইসেন্স ফিসহ সব ধরনের লেনদেন থেকে মূসক, টার্নওভার কর, সম্পূরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর এবং আয়করসহ সব ধরনের রাজস্ব আদায় এবং বকেয়াসহ রাজস্ব আদায়ের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এছাড়াও ছয় মাস পর পর গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইয়াহু, আমাজনসহ অন্যান্য ইন্টারনেট-ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন, ডোমেইন বিক্রি, লাইসেন্স ফিসহ সব ধরনের লেনদেন থেকে মূসক, টার্নওভার কর সম্পূরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর এবং আয়করসহ সব ধরনের রাজস্ব আদায় করে হলফনামা দাখিল করতে রাজস্ব বোর্ডকে নির্দেশ দেয়া হলো।
রায়ে আদালত বলেছেন, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ৪ ধারা অনুসারে গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইয়াহু, আমাজানসহ অন্যান্য ইন্টারনেট-ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মূসক নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। এছাড়া ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৪ এর ধারা ৭৫ মোতাবেক গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইয়াহু, আমাজানসহ অন্যান্য ইন্টারনেট-ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে বাধ্য।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির।
২০১৮ সালে একটি পত্রিকার প্রতিবেদন সংযুক্ত করে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন ব্যারিস্টার মো. হুমায়ন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মাজেদুল কাদের, ব্যারিস্টার মো. সাজ্জাদুল ইসলামসহ ছয়জন আইনজীবী। জনস্বার্থে তারা রিট পিটিশনটি দাখিল করেন।
রায়ে বলা হয়েছে, রিট মামলাটি একটি চলমান আদেশ হিসেবে অব্যাহত থাকবে।