দেশের ছয় জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়, তাদের বাসস্থান ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনার বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এই সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানির পর আজ এই আদেশ দেন।
আদেশে একইসঙ্গে এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপত্তা বিধানে স্থানীয় প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন আদালত। রংপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ফেনী, চাঁদপুর ও নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে আগামী ২ মাসের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
গত ২১ অক্টোবর সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ, বাসস্থান ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়। রিটে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতা বিষয়ে আদালতের নির্দেশনার জন্য আর্জি পেশ করা হয়।
সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অনুপ কুমার সাহা ও মিন্টু চন্দ্র দাস এই রিট দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, পুলিশের আইজি, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, রংপুর ও ফেনীর ডিসি-এসপিসহ ১৯ জনকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।
রিট আবেদনে সাম্প্রদায়িক হামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন নির্দেশনার আর্জি পেশ করেছেন পিটিশনারগন।