টাকার অঙ্কটা আঁতকে ওঠার মতোই। তবে আইপিএলের বাজারদর এখন এমনই। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও অর্থকরী টি–টোয়েন্টি লিগে আগামী মৌসুম থেকে যুক্ত হচ্ছে দুটি নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি। এ দুটি দল বিক্রি হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার ২৫৪ কোটি টাকায় (ভারতীয় রুপি ১২ হাজার ৫০০)। দল দুটি হবে লক্ষ্ণৌ ও আহমেদাবাদভিত্তিক।
প্রায় ৭ হাজার ৯৮২ কোটি টাকায় (ভারতীয় রুপি প্রায় ৭ হাজার) লক্ষ্ণৌভিত্তিক দলটি কিনেছে আরপিএসজি নামের কলকাতাভিত্তিক এক বহুজাতিক কোম্পানি। লক্ষ্ণৌর এ দলটির ঘরের মাঠ হতে যাচ্ছে ২০১৮ সালে তৈরি হওয়া অটল বিহারি বাজপেয়ি স্টেডিয়াম। এ মাঠের ধারণক্ষমতা প্রায় ৫০ হাজার।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
আরপিএসজি অবশ্য এর আগেও ছিল আইপিএল–দলের মালিকানায়। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে আইপিএলে নিষিদ্ধ ছিল চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালস। তখন রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্ট নামের একটি দল ছিল এ কোম্পানির মালিকানায়। এটির মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা নামের এক ব্যবসায়ী। ক্রিকইনফোকে গোয়েঙ্কা বলেছেন, ‘আইপিএলে ফিরতে পেরে খুশি। এটা প্রাথমিক একটা ধাপ। আমাদের এখন ভালো একটা দল গড়ে পারফর্ম করতে হবে।’
আজ দুবাইয়ে হয়েছে আইপিএলের নতুন দুটি দলের নিলাম
আজ দুবাইয়ে হয়েছে আইপিএলের নতুন দুটি দলের নিলামছবি: ইনস্টাগ্রাম
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে ইউরোপ, এশিয়া ও আমেরিকাভিত্তিক সিভিসি নামের আরেকটি কোম্পানি কিনেছে আহমেদাবাদভিত্তিক আরেকটি দল, যেটি বিক্রি করা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৯২৯ কোটি টাকায় (ভারতীয় রুপি প্রায় ৫ হাজার ২০০)। এর আগে এ কোম্পানির স্বত্ব ছিল ফর্মুলা ওয়ানে। সম্প্রতি স্পেনের লিগ লা লিগার একটা ছোট অংশ কিনেছে তারা। প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম হবে তাদের ঘরের মাঠ।
আজ দুবাইয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে চলা এক নিলামে বিক্রি হয়েছে নতুন দুটি দলের মালিকানা। এ নিলামে উপস্থিত ছিলেন বিসিসিআইয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এমনিতেও এবার বিসিসিআইয়ের আয়োজনে সংযুক্ত আরব আমিরাতেই হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবার প্রতিটি দলের জন্য বিসিসিআইয়ের ভিত্তিমূল্য ছিল প্রায় ২ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। ফলে লক্ষ্ণৌর দলটি আরপিএসজি কিনেছে প্রায় ২৫০ শতাংশ বেশি মূল্যে, অন্যদিকে সিভিসি ব্যয় করেছে ভিত্তিমূল্যের প্রায় ১৬০ শতাংশ বেশি অর্থ।
ক্রিকেটে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম—নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম
ক্রিকেটে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম—নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামছবি: টুইটার
যে টাকা দিয়ে দলগুলো কেনা হয়েছে, সেটার পুরোটা বিসিসিআইকে পরিশোধ করতে হবে ১০ বছরের মধ্যে। নিয়মিত এ টাকা পেতে নিলামে একটা শর্ত জুড়ে দিয়েছিল বিসিসিআই। নিলামে অংশ নেওয়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক রাজস্ব তিন বছর ধরে হতে হবে অন্তত ৩ হাজার ৪২১ কোটি টাকা।
দুটি দল কেনার লড়াইয়ে আজ ছিল ১০টি পক্ষ। এদের মধ্যে ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবও। আহমেদাবাদ, লক্ষ্ণৌ, কটক, ধর্মশালা, গুয়াহাটি ও ইন্দোরের মধ্য থেকে বেছে নিতে হতো দুটি শহর।