আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের অংশগ্রহনে কোন বাধা দিবে না ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
গত ১৫ অগস্ট আফগানিস্তানের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে দখল করে তালেবানরা। তালেবানদের আফগানিস্তান দখলে, দেশটির ক্রিকেট নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিলো। এরপর নারীদের ক্রিকেট নিষিদ্ধ করে তালেবানরা। তবে আইসিসি নিয়মেই আছে, পূর্ণ সদস্যভুক্ত প্রত্যেক দেশে একটি নারী জাতীয় দল থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে পুরুষ দল খেললে, নারীদের ক্রিকেটও চালু থাকতে হবে। এতে আইসিসির নিয়ম ভঙ্গ করেছে তালেবান সরকার। এরপরই আইসিসি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের খেলা নিয়ে সংশয় জাগে।
তবে আপতত আফগানিস্তানের বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে কোনরকম ঝামেলা নেই বলে জানিয়েছেন আইসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী অ্যালার্ডিচ।
আজ এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার পালাবদলের পর ব্যাপারটা আফগানিস্তানের পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, আমরা সেটাই দেখছি। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি আমরা। আমাদের সদস্য বোর্ডের মাধ্যমে দেশটির ক্রিকেটের উন্নয়নই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’
অ্যালার্ডিচ আরও বলেন, ‘আইসিসির পূর্ণ সদস্য এবং তাদের দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে। তাই এ টুর্নামেন্টে আফগানদের অংশগ্রহণে কোন সমস্যা থাকছে না।’
তবে আইসিসি পরবর্তী বোর্ড সভায় আফগানিস্তানের ক্রিকেট নিয়ে সিদ্বান্ত নেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন অ্যালার্ডিচ। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী বোর্ড সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে সে সভা বিশ্বকাপের পরই হবে।’
নারীদের ক্রিকেট নিষিদ্ধ হওয়ায়, আফগানিস্তানের সাথে দ্বিপাক্ষীক সিরিজ খেলবে না অস্ট্রেলিয়া। এটি নিয়েও বোর্ড সভায় আলোচনা হচ্ছে এবং দ্রুত সিদ্বান্তও নেয়া হবে। অ্যালার্ডিচ বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট বাতিলের ব্যাপারে আলোচনা আইসিসি। মূলত আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের উপর এসব সিরিজ বাতিলের প্রভাব কেমন হবে, সেটির দিকেই নজর দেয়া হবে।’
আইসিসির টি-টুয়েন্টি র্যাংঙ্কিংয়ে শীর্ষ আটে থাকায় বাছাই পর্ব খেলতে হচ্ছে না আফগানিস্তানকে। সুপার-১২তে গ্রুপ-২এ ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও বাছাই পর্ব পেরিয়ে আসা দু’টি দলের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান।