চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, লেকসিটি হাউজিং সোসাইটিতে সদস্য ছাড়া কর্পোরেশনের কোন কর্মকর্তা ও বাইরের কেউ অনিয়মতান্ত্রিক বা দুনীর্তির মাধ্যমে প্লট পেয়েছে কিনা তা তদন্ত করে বের করার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আজ সকালে নগরীর টাইগারপাসস্থ কর্পোরেশনের কনফারেন্স রুমে লেকসিটি হাউজিং সোসাইটির কর্মকর্তাদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ষোল বছর আগে কর্পোরেশন লেকসিটি হাউজিংয়ে প্লট বরাদ্দের উদ্যোগ নেয়। কর্পোরেশনের হিসাব মতে, এই হাউজিংয়ে প্লট থাকার কথা ২.৫ কাঠা করে ১০২ টি। টাকা জমা দেয়া গ্রাহকদের মধ্যে প্লট বুঝে পেয়েছেন ৪৪৮ জন। ৯৮ জন এখনো তাদের প্লট বুঝে পাননি। তিনি বলেন, নিয়মানুযায়ী সবারই প্লট পাওয়ার কথা। যেহেতু সবাই টাকা জমা দিয়েছেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে কাঠা প্রতি ৬ লাখ টাকা করে জমা দিয়ে অনেকে প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন আবার অনেকে ৮ লাখ টাকা করে জমা দিয়েও প্লট পাননি। আবার এর মধ্যে কর্পোরেশনের অনেক সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাও প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তা হলে সব বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়াই সমিচিন হবে।
মেয়র প্লটের জন্য পূর্বে যারা টাকা জমা দিয়েছেন তাদেরকে বর্তমান বাজার দরে বাড়তি টাকা জমা দিলে প্লট বরাদ্দ দেয়া যায় কিনা ভেবে দেখবেন বলে জানান।
তিনি আরো বলেন, কর্পোরেশন কোন ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয়। এই প্রতিষ্ঠানটি জনগণের করের ওপর নির্ভরশীল। আর বর্তমান কর্পোরেশনের আর্থিক সঙ্গতির বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে, এই সমস্যার সমাধান করতে হলে বাস্তবমুখী চিন্তা-ভাবনা করে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বৈঠকে কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন, লেকসিটি হাউজিং সোসাইটির সভাপতি এ কে এম মুজিবুল হক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. আফাজউল্লাহ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।