বান্দরবান জেলা সদরের সাইঙ্গ্যা ত্রিপুরা পাড়ায় পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে নিখোঁজ একই পরিবারের তিন সদস্যর মধ্যে দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
নিহতরা হলেন- বাজেরুং ত্রিপুরা (১২) এবং অপরজন প্রদীপ ত্রিপুরা (৭)। তারা সম্পর্কে ভাই ও বোন। তবে এখনো নিখোঁজ আছেন মা কৃষ্ণাতি ত্রিপুরা (৪৪)। আহত হন কৃষ্ণাতির ছোট বোন রাংকাতি ত্রিপুরা।
বৃহস্পতিবার সকালে পাহাড়ি ঝিড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা, তবে নিখোঁজ মায়ের লাশ উদ্ধারে কাজ করছেন স্থানীয়, পুলিশ ও দমকলবাহিনীর সদস্যরা।
সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জগদীশ ত্রিপুরা জানিয়েছেন, গতকাল বিকেল থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছিল। জুমের কাজ শেষে বিকেলে মা, মেয়ে ও ছেলে ঝিড়ির পাশে থাকা পানির ট্যাংক থেকে গোসল করছিলেন। গোসল শেষে ঝিড়িতে প্রবল ¯্রােত থাকায় পার হয়ে বাড়িতে যেতে পারছিলেন না। পানির স্রোত থেকে রক্ষা পেতে তারা ঘাটের পানির ট্যাংকের পাশে দাঁড়ান। এ সময় হঠাৎ ট্যাংকের ওপর পাহাড় ধসে তিনজনই নিখোঁজ হন। রাংকাতি ত্রিপুরা ট্যাংক থেকে ছিটকে পড়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও আহত হয়েছেন। সাইঙ্গ্যা ত্রিপুরা পাড়াটি বান্দরবান-চিম্বুক সড়কে জেলা শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
রাতেই রেডক্রিসেন্টের সদস্য, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়রা নিখোঁজদের উদ্ধারে ঝিড়ির আশেপাশে খোঁজ শুরু করেন। তবে বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা ঝিড়ির কাছ থেকে শিশু বাজেরুং ত্রিপুরার লাশ খুঁজে পান এবং আরেক শিশু প্রদীপ ত্রিপুরার লাশ খুঁজে পান সাঙ্গুনদীর মোহনায় জানিয়েছেন পুলিশ ও স্থানীয়রা।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত ) সোহাগ রানা জানিয়েছেন, ভাই-বোনের লাশ পাওয়া গেছে। উদ্ধার তৎপরতা এখনও অব্যাহত আছে। এটা একটা দুর্ঘটনা। পরিবারের সাথে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বেলা ১২ টা নাগাদ উদ্ধার তৎপরতা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বান্দরবান ফায়ার স্টেশন কর্মকর্তা নাজমুল আলম জানিয়েছেন, মা এখনও নিখোঁজ আছে। দুর্গমতার কারনে উদ্ধার তৎপরতা এখনো ব্যহত হচ্ছে। নিখোঁজ মাকে যতক্ষণ পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারব না ততক্ষণ পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।