চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১০৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৮৪৫ জন সুস্থ হয়ে ওঠেছেন। সংক্রমণের হার ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ সময়ে ৩ রোগির মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এসব তথ্য জানা যায়।রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও নগরীর সরকারি-বেসরকারি আরো নয় ল্যাবে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ২৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ১০৮ জনের মধ্যে শহরের ৬৭ ও ৯ উপজেলার ৪১ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ হাটহাজারীতে ১০, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ায় ৭ জন করে, রাউজানে ৬, বোয়ালখালী ও আনোয়ারায় ৪ জন করে, সীতাকু-, বাঁশখালী ও পটিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ৫৬০ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭২ হাজার ৯৫৮ ও গ্রামের ২৭ হাজার ৬০২ জন।গতকাল করোনায় গ্রামের তিন জন মারা যান। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ১ হাজার ২৬২ জন হয়েছে। এতে শহরের ৭শ’ ও গ্রামের ৫৬২ জন। আরোগ্যলাভ করেন নতুন ৮৪৫ জন। মোট সুস্থ ৭৭ হাজার ৪০৮ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১০ হাজার ৮৭ জন এবং বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৬৭ হাজার ৩২১ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ১৪৫ জন এবং ছাড়পত্র নেন ১৯০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৩৮২ জন।ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৩৭১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২০ ও গ্রামের ১৩ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ১৬৫ জনের নমুনায় গ্রামের ৫ জনসহ ১৯ জন করোনা শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৮ ও গ্রামের ১২ জনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩২টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ৮টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ৩৪ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে একজনও পজিটিভ পাওয়া যায়নি। নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৫টি নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩০৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৫টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১২০টি নমুনার মধ্যে শহরের ৪টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৭টি নমুনায় শহর ও গ্রামের ৩টি করে এবং এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ৮৯ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১২টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৫ ও ল্যাব এইডে ২টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবক’টিরই নেগেটিভ রেজাল্ট পাওয়া যায়। এদিন চট্টগ্রামের ৩ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় একটিতেও করোনার জীবাণু মেলেনি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ, চমেকে ১১ দশমিক ৫১, চবিতে ২০ দশমিক ৪১, সিভাসু’তে ২৫ ও আরটিআরএলে ২০ শতাংশ, শেভরনে ১ দশমিক ৬৪, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩ দশমিক ৩৩, মা ও শিশু হাসপাতালে ১৬ দশমিক ২১, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৩ দশমিক ৪৮ এবং এন্টিজেন টেস্ট, মেডিকেল সেন্টার, ল্যাব এইড ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।