চট্টগ্রাম বন্দরে চাকুরি দেয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে সেকান্দর আলী নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
চাঁন্দগাও আবাসিক এলাকার বি ব্লকের আয়েশা মঞ্জিলের বাসা থেকে তাকে রাত দুইটার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কোতোয়ালী থানা পুলিশ জানায়, বন্দরের সচিব পরিচয় দানকারী সেকান্দর আলী (৫৫) একটি পেশাদার প্রতারক চক্রের দলনেতা। তার প্রতারণার সঙ্গী নুর মোহাম্মদ রিয়াজউদ্দিন বাজার মুরগীহাটা লেনের মো. আবুল কাশেমের (৬৯) চায়ের দোকানে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতো। ২০১৮ সালে নুর মোহাম্মদ চায়ের দোকানে সেকান্দর আলী ও অপর একজনকে নিয়ে যান। এ সময় সেকান্দর আলীকে বন্দরের সচিব বলে ব্যবসায়ী আবুল কাশেমের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। সেকান্দর আলী এলাকার কাশেমের ছেলেকে বন্দরে চাকুরি দেয়ার কথা বলে ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করে।
২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর আবুল কাশেম স্টেশন রোড মদিনা হোটেলের ২য় তলায় সেকান্দরকে তার অপর দুই সঙ্গীর উপস্থিতিতে নগদ সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা দেয়া হয়। ভুয়া সচিব সেকান্দর আলী বিশ^াস স্থাপনের কৌশল হিসেবে এর বিপরীতে আবুল কাশেমকে রূপালী ব্যাংক লি., স্টেশন রোড কর্পোরেট শাখার একটি খালি চেক প্রদান করে। সেকান্দর পরবর্তীতে ২০২০ সালের মার্চ মাসে কাশেমের ছেলে চাকুরিতে যোগদান করতে পারবে বলে জানিয়ে অবশিষ্ট টাকা পরিশোধের দাবি করে। এর প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ একই স্থানে গিয়ে আরও এগারো লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা চক্রের হাতে তুলে দেয় কাশেম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মার্চ মাস পার হয়ে গেলেও চাকুরিতে যোগদান করতে না পারায় আবুল কাশেম কথিত ‘সচিব’ সেকান্দর আলী ও তার দুই সহযোগীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে। সবক’টি মোবাইল ফোন বন্ধ পেলে তার সন্দেহ হয়। তিনি জানতে পারেন সেকান্দর চক্র বন্দরে চাকুরি দেয়ার নাম করে ইতিমধ্যে শুভ্র প্রকাশ সাহা (২৭) ও সুমা রানী বণিক (২৬) নামে দুই মহিলার নিকট থেকে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা করে এবং গৌরব চন্দ্র সূত্রধর (২৫) নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৭লক্ষ টাকা নিয়েছে। এরপর আবুল কাশেম কোতোয়ালী থানায়তার বিরুদ্ধে একটি প্রতারনা মামলা করেন।
কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন পিপিএম-এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল চান্দগাঁও আবাসিক এলঅকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক ‘সচিব’ সেকান্দরকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি তার দীর্ঘদিনের প্রতারণার ঘটনা স্বীকার করে।