পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন আজ বলেছেন, চীন এখানে একটি স্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যালের সাথে তাদের সিনোফার্ম কোভিড ভ্যাকসিনের যৌথ উদ্যোগে উৎপাদন করার জন্য খসড়া সমঝোতা স্মারক পাঠিয়েছে।
তিনি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে খসড়া সমঝোতাটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি ... তাদেরকে এটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চূড়ান্ত সমঝোতা স্মারক প্রস্তুত করতে দেরি হবে না। কারণ চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করার পর এখানে যৌথ উদ্যোগে উৎপাদন শুরু করতে দুই মাসের মত সময় লাগবে।
মোমেন বলেন, চীনের সিনোফার্ম বাংলাদেশী ফার্মাসিউটিক্যালস ইনসেপ্টার সাথে যৌথ উৎপাদনে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সম্ভাব্য চুক্তি অনুযায়ী ইনসেপ্টা এখানে ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারবে না, তারা স্থানীয়ভাবে কেবল চীনা টিকার বোতলজাতকরণ এবং লেবেলিং করবে। এতে ভ্যাকসিনের খরচও যথেষ্ট কম পড়বে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চূড়ান্ত চুক্তিটি বাংলাদেশ সরকার, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস এবং চীনের সিনোফার্ম এই তিন পক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত হবে।
এখানে রাশিয়ার ভ্যাকসিনের যৌথ উদ্যোগে উৎপাদন সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মস্কো প্রশাসন ধীরে কাজ করছে কারণ রাশিয়ায় করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ আঘাত করেছে।
তিনি বলেন ‘তবে (এখানে রাশিয়ার ভ্যাকসিনের যৌথ উদ্যোগে উৎপাদন করার জন্য) আমরা তাদের (মস্কো) সঙ্গে আমাদের সকল প্রচেষ্টা নিয়োজিত রেখেছি।
এর আগে আজ সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
ড. মোমেন বলেন, বৈঠকে চীনা দূত তাকে আশস্ত করেছেন যে, তার সরকার বাংলাদেশে অব্যাহত ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করবে।
তিনি বলেন, ‘তবে বিশ্বব্যাপী চীনা ভ্যাকসিনের ব্যাপক চাহিদা থাকায় তারা আমাদের চাহিদার কথা তাদেরকে আগে-ভাগে জানাতে অনুরোধ করেছে।’
এ পর্যন্ত ঢাকা চীনের সিনোফার্মের ৭০ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে।
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিনা মূল্যে মডার্না ভ্যাকসিনের ৫৫ লাখ ডোজ পেয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওয়াশিংটন ডিসি বাংলাদেশে আরো টিকা পাঠানোর ব্যাপারে ঢাকাকে আশ্বাস দিয়েছে।