চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বৈধ বা অবৈধ হোক পাহাড়ের গায়ে বা পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি থাকতে দেয়া হবে না। জনস্বার্থে জানমাল রক্ষায় এসকল বসতি ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
মেয়র আজ শুক্রবার বিকেলে লালখান বাজারস্থ শাহ গরীব উল্লাহ্ হাউজিং ও কুসুমবাগ হাউজিং সোসাইটিতে ভারী বর্ষণে পাহাড়ধস কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন।তিনি বলেন, এখানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটলেও বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি ঘটেনি। তবে যে কোন সময়ে বড় ধরণের বিপর্যয় ঘটার আশংকা রয়েছে। নিকট অতীতে ভারী বর্ষায় টাইগারপাসে বড় ধরণের পাহাড়ধসের ঘটনায় বহু প্রাণহানি ঘটেছে। তারপরও জনসচেতনতা আসেনি, মৃত্যুভয়কে পরোয়া না করে যারা পাহাড়ের গায়ে বা পাদদেশে বসতি গড়েছেন তাদের স্বার্থেই এসব গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।
তিনি উল্লেখ করেন যে, চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়গুলো বালির। পাহাড়ের গাছপালা নিধন এবং পাহাড়ের ভূমি লাগামহীন কর্তনের ফলে এগুলো অরক্ষিত ও নড়বড়ে প্রায়। ভারী বর্ষায় অব্যাহত ঢলে প্রতিনিয়ত ভেঙে পড়ে। কারণ পাহাড় প্রকৃতিরই সম্পদ। আমরা এসব লালন-পালন-ধারণ করতে পারিনি বলেই বারবার একই ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি ঘটছে।তিনি পাহাড়ধস রোধে নগরীর সকল পাহাড়ের গায়ে পরিকল্পিত রিটার্নিং দেয়াল নির্মাণের প্রস্তাবনা পেশ করে বলেন, এতে পাহাড়ের সুরক্ষা হবে এবং অতিবৃষ্টিতে পাহাড় থেকে মাটি নেমে খাল-নালা-নদর্মা ভরাট হওয়া বন্ধ হবে।
তিনি এ প্রসঙ্গে প্রশাসনসহ নগর উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে পরিবেশ ও পাহাড় সুরক্ষায় সব ধরণের কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। বিশেষ করে রিটার্নিং ওয়াল ছাড়া পাহাড়ের গায়ে বা পাদদেশে আবাসন ও স্থাপনা নির্মাণের নক্শা অনুমোদন না করার জন্য সিডিএ’র প্রতি অনুরোধ জানান মেয়র।এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।