দীর্ঘ ২৬ ঘন্টা পর বাংলাদেশে পৌঁছেছে ভারতীয় রেলওয়ের ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’। ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো জানায়, প্রতিবেশী কোনো রাষ্ট্রে এটাই অক্সিজেন এক্সপ্রেসের প্রথম কোনো যাত্রা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দরে ২০০ টন তরল মেডিকেল অক্সিজেন (এলএমও) পরিবহনের জন্য ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের অধীনস্থ চক্রদহরপুরের টাটায় একটি ইনডেন্ট স্থাপন করা হয়।শনিবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে ১০টি কনটেইনারে এই তরল অক্সিজেন ভরার কাজ শেষ হয়। এর পর রওনা দেয় বাংলাদেশের উদ্দেশে।
চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে তরল অক্সিজেন সরবরাহের জন্য ভারতীয় রেলওয়ে অক্সিজেন এক্সপ্রেস সেবাটি চালু করে। ইতোমধ্যে ৪৮০টি যাত্রার মাধ্যমে এই অক্সিজেন এক্সপ্রেস ভারতের ১৫টি রাজ্যে ৩৫ হাজার মেট্রিকটনের বেশি অক্সিজেন পরিবহন করেছে।
কনটেইনার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের (কনকর) এজেন্সি পার্টনার টিসিআই বাংলাদেশ লিমিটেড এবং তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান এম এম ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশে এই ক্রিটিকাল শিপমেন্টটি বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশনে ডেলিভারি কার্যক্রম পরিচালনা করে।
ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অফ কর্মাসের পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, এই সর্বপ্রথম করোনকালীন সময়ে রেলওয়েতে ১০টি কনটেইনারে ২০০ টন অক্সিজেন নিয়ে শনিবার রাত ৯ টা ২৫ মিনিটে ট্রেনটি বেনাপোল রেলস্টেশনে এসে পৌঁছায়। সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত সাড়ে ১২টায় সিরাজগঞ্জের ডিপোর উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। এরপর সকাল ১০টার দিকে ট্রেনটি সিরাজগঞ্জের ডিপোতে পৌঁছায় বলে আমদানিকারক লিন্ডের প্রতিনিধি কামরুজ্জামান জানান।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, এই প্রথম বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে রেল যোগে অক্সিজেন আমদানি করা হচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে অক্সিজেন আমদানি করা হলে তা সর্বোচ্চ অগ্রধিকার দিয়ে শুল্কায়ন কার্যক্রম শেষ করা হয়।