করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট লকডাউনে দিশেহারা অসহায়, ছিন্নমূল, দরিদ্র, খেটে খাওয়া মানুষ। তাদের আয় নেই, ঘরে খাবার নেই। এসব শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ করছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশন। লকডাউনের শুরু থেকে প্রতিদিন মন্ত্রীর চট্টগ্রাম নগরীর বাসায় তৈরী করা হয় এসব খাবার।
মঙ্গলবার দুপুরেও চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুরপাড় এলাকায় তথ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে ফুটপাতে দুই শতাধিক পথচারী, রিকশাচালক, ভিক্ষুক ও ছিন্নমূল মানুষদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
এর আগে সকাল থেকে শুরু হয়ে যায় মন্ত্রীর বাসায় ব্যস্ততা। মাংস, আলু-পেঁয়াজসহ অন্য মসলা কেটেকুটে পরিষ্কার করে দেন কেউ কেউ। তারপর বড় পাতিলে রান্না বসানো হয়। সাড়ে ১২টার আগেই সেসব খাবার প্যাকেট করা হয়। শেষে বাসার সামনে ফুটপাতে এনে একবেলা খাবার তুলে দেয়া হয় দরিদ্র মানুষদের মাঝে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দেওয়ানজি পুকুড়পাড় এলাকায় নবাব সিরাজদ্দৌলা রোডে সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন দুই শতাধিক অসহায় মানুষ। অন্যদিকে আয়োজন সংশ্লিষ্টরা দাঁড়িয়ে আছেন প্যাকেটভর্তি খাবার নিয়ে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগত মানুষজন হাসিমুখে একে একে গ্রহণ করছেন খাবারের প্যাকেট।
তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এমরুল করিম রাশেদ জানান, ১ জুলাই সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন থেকে দুই শতাধিক মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করে আসছেন তাঁরা। সে ধারাবাহিকতায় আজকের এ আয়োজন। লকডাউন শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এ খাবার বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এছাড়া লকডাউন শেষ হয়ে গেলেও সপ্তাহে অন্তত দুই-তিনদিন এ খাবার বিতরণ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে তিনি জানান।
উক্ত খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এমরুল করিম রাশেদ, কায়ছারুল আলম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুল জব্বার, সদস্য শফিউল আলম ও শৈবাল চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।