×
ব্রেকিং নিউজ :
সাফ শিরোপা জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমে ‘জুলাই অভ্যুত্থান ২০২৪’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে বিএনপি’র লিয়াজোঁ কমিটি ও গণঅধিকার পরিষদের মতবিনিময় ছাত্রদল ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী : নাসির উদ্দিন নাসির রাঙ্গামাটিতে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে প্রশাসন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ শহিদ সাংবাদিকদের পরিবার ও আহতদের পাশে থাকবে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট : নাহিদ ইসলাম যত দ্রুত সম্ভব গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন : মির্জা ফখরুল দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু হবে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংস্কার হতে হবে টেকসই, যেন আপত্তিকর চর্চার পুনরাবৃত্তি না হয় : ফলকার
  • প্রকাশিত : ২০২১-০৭-০৫
  • ৯৪৩ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ আক্রান্তের দিনে করোনামুক্ত অর্ধলক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাকালের সবচেয়ে বেশি ৫৫৯ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ৩৪ দশমিক ১২ শতাংশ। এ সময়ে ৫ রোগীর মৃত্যু হয়। 
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজসহ ১০টি ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নতুন ৫৫৯ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের ৪১৪ ও ১৪ উপজেলায় ১৪৫ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ রাউজানে ৩৬, সীতাকুন্ডে ১৮, রাঙ্গুনিয়ায় ১৫, পটিয়ায় ১২, হাটহাজারীতে ১১, বাঁশখালীতে ১০, আনোয়ারা ও মিরসরাইয়ে ৯ জন করে, বোয়ালখালীতে ৭, ফটিকছড়িতে ৬, সাতাকানিয়ায় ৫, সন্দ্বীপে ৪, লোহাগাড়ায় ২ এবং  চন্দনাইশে ১ জন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৬০ হাজার ৯২৭ জন। এর মধ্যে শহরের ৪৭ হাজার ৩৮১ ও গ্রামের ১৩ হাজার ৯২৭ জন। 
গতকাল করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে শহরের একজন ও গ্রামের ৪ জনের মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৭২২ জন। এতে শহরের ৪৮২ ও গ্রামের ২৪০ জন। সুস্থ্যতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১৫৯ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৫০ হাজার ৪৮ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬ হাজার ৬৮২ ও বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ্য হন ৪৩ হাজার ৩৬৬ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ১৮১ জন। ছাড়পত্র নেন ১৫৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৫৯৩ জন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে করোনার প্রথম ভাইরাসবাহক শনাক্ত হওয়ার পর গতকাল শনাক্ত জীবাণুবাহকের সংখ্যা এ পর্যন্ত একদিনের সর্বোচ্চ এবং সংক্রমণ হার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয় ১ জুলাই, ৩৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। এর আগে জেলায় একদিনের সর্বোচ্চ সংক্রমণ ছিল ৩০ জুন, ৫৫২ জন। সংক্রমণ হার ২৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ। ৫৪১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয় ১১ এপ্রিল। সংক্রমণ হার ২০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। প্রথম প্রকোপের সময় গত বছর ৩০ জুন আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪৫ জন পর্যন্ত ওঠেছিল। এদিকে, গতকাল ৫ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চলতি মাসের প্রথম চারদিনে মৃতের সংখ্যা ১৬ জন হলো।   
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়। এখানে ৩৬৮ জনের নমুনায় শহরের ৬৮ ও গ্রামের ১২ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৭৪টি নমুনার মধ্যে শহরের ৪৫ ও গ্রামের ২৭টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১২৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৬ জনসহ ৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২৪ জনের নমুনায় শহরের ৩১ ও গ্রামের ২৮ জনের শরীরে জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলে। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৩০টি নমুনার মধ্যে শহরের ১৭ ও গ্রামের ৪টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। ২০৮ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহরের ২৬ ও গ্রামের ৩৯ জন ভাইরাসবাহক বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ১৯৫ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২৪ ও গ্রামের ১১টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৯১টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ২টিসহ ৮০টি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩৯টি নমুনায় শহরের ৭ ও গ্রামের ৪টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ১১০টি নমুনায় গ্রামের ২টিসহ ৬০টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এদিন চট্টগ্রামের ৭০ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। এতে গ্রামের ৭ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। 
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ২১ দশমিক ৭৪ শতাংশ, সিভাসু’তে ৪১ দশমিক ৩৮, চমেকে ৪৫ দশমিক ৭৩, চবি’তে ৪৭ দশমিক ৫৮, আরটিআরএলে ৭০ শতাংশ, এন্টিজেন টেস্টে ৩১ দশমিক ২৫, শেভরনে ১৭ দশমিক ৯৫, ইম্পেরিয়ালে ৪১ দশমিক ৮৮, মা ও শিশু হাসপাতালে ৫৩ দশমিক ৮৫, এপিক হেলথ কেয়ারে ৫৪ দশমিক ৫৪ এবং কক্সবাজার মেডিকেল ১০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat