সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিভিন্ন নদ-নদী ও নালা, খালে চায়না দোয়ার নামে এ জালে অবাধে মাছ ধরা হচ্ছে। ম্যাজিক জাল নামেও এর পরিচিতি রয়েছে । কারেন্ট জালের পশাপাশি এ জালে বিভিন্ন জাতের দেশীয় বড়-ছোট মাছ আটকা পড়ছে। দেশীয় মাছের বংশ বিস্তারের পথে এ জাল অনেকটাই বিড়ল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানা গেছে । উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে অভিযানে নামলেও পুরোদমে নতুন বের হওয়া এ জালে মাছ ধরা বন্ধ হচ্ছেনা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মৎস্য শিকারিরা এ জাল গভীর রাতে নদী ও নালায় পেতে রাখে এবং ভোর রাতে তুলে ফেলে। বিশাল লম্বা এ জাল গভীর পানিতে ফেলে ডুবিয়ে রাখা হয়। এর মুখ হয়ে সবধরনের বড়-ছোট মাছ ঢুকলেই আর বের হতে পারে না। একদিন পর পানি থেকে জাল তোলা হয়। এদিকে জালে ঢুকে পড়ার পরই ছোটো আকারের মাছগুলো মারা যায়। আরো জানা যায়, এ জাল পানিতে কোথায় পাতা আছে সাধারণ জনগণের পক্ষে সহজে খুঁজে বের করা কঠিন ।
উল্লাপাড়ায় ফুলঝোড় নদীসহ এর শাখা নদী-নালাগুলোয় বন্যার পানি এসেছে। উপজেলার বড়হর , কালিগঞ্জ, ঘাটিনা এলাকায় ফুলঝোড় নদীতে চায়না দোয়ার জাল পেতে মাছ ধরা হচ্ছে বলে জানা গেছে ।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ বায়েজিদ আলম জানান, চায়না দোয়ার জাল বিছিয়ে মাছ ধরা ও দেশীয় মৎস্য সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতির ভয়াবহতা জেনেছেন। তিনি নিজেও তদন্ত করে এর সত্যতা পেয়েছেন।
তার বিভাগ থেকে অভিযানে নেমে বড়হর খেয়াঘাট ও কালিগঞ্জ এলাকায় ফুলঝোড় নদী ও বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২ টি জাল আটক করে তা জ্বালিয়ে দিয়েছেন। তার বিভাগ থেকে এর বিরুদ্ধে অভিযান আরো জোরালোভাবে চালানো হবে বলে জানান তিনি।