অবসায়ন না করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেডকে (পিএলএফএসএল) পুনরুজ্জীবিত করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে আদালত একটি বোর্ড গঠন করে দিয়েছেন। ওই বোর্ডে কারা থাকছেন তা আদালতের লিখিত আদেশে থাকবে বলে আইনজীবীরা জানান।
পিএলএফএসএলের আমানতকারীদের আবেদনে সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের একক ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এই আদেশ দেয়।
পিপলস লিজিং পুনর্গঠন বা পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশনা চেয়ে দুই শতাধিক আমানতকারী আদালতে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, আইন অনুযায়ী আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়নের কোনো বিধান নাই। তবে আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো একীভূত করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের একটি পরিকল্পনা বাংলাদেশ ব্যাংক নিতে পারে।
পিএলএফএসএলের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হলে আমানতকারীদের ‘ক্ষতির বোঝা আরও বাড়বে’ বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানজীব-উল আলম। আর পিএলএফএসএলের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুইডেটর) মো. আসাদুজ্জামানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান।
আইনজীবী আহসানুল করিম গনমাধ্যমকে বলেন, আদালত পিপলস লিজিংকে অবসায়ন না করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। একে পুনরুজ্জীবীত করতে একটি বোর্ড গঠন করে দেবেন। সে বোর্ড কার নেতৃত্বে হবে, কে কে থাকবেন তা পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
ধারাবাহিক লোকসানে থাকা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং ২০১৪ সালের পর থেকে আমানতকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই থেকে দেশের পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ হয়। একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা বোর্ড ভেঙে নতুন বোর্ড গঠন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু তাতেও প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক অবস্থার উন্নতি না হলে গত বছরের জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠানটি অবসায়নের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন সাময়িক অবসায়ক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান খানকে নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।