সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মানা হচ্ছে না সরকারী বিধি নিষেধ । লঙ্ঘিত হচ্ছে ঈদ মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধি । উল্লাপাড়া পৌর শহরের প্রবেশ পথের মুল রাস্তার উপর ছাতা ফুটিয়ে ছোট বড় বেশ কিছু দোকান বসিয়ে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে বেচা-কেনা করছে । এখানে বিক্রেতা ও ক্রেতার মুখে নেই কোনো মাস্ক । ওই রাস্তা দিয়ে গাদাগাদি করে মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি চরম উদ্বেগজনক অবস্থা বিরাজ করছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য উল্লাপাড়া পৌরসভা থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না ।
উল্লাপাড়া পৌর শহরের গাউসিয়া সুপার মার্কেট, এইট্রি-ফাইভ সুপার মার্কেট, কুঠিবাড়ি লডপট্রি মার্কেট, খান সুপার মার্কেট ও নিউমার্কেট সহ সবগুলো মার্কেটে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা দেখা গেছে ।
উপজেলার স্বনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাবেয়া বস্ত্রালয়, মানিক বস্ত্রালয় ও পাপিয়া বস্ত্রালয় ক্রেতার উপচে পরা ভির । ভিরের মাঝেও অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে নেই কোনো মাস্ক । মার্কেটের দোকান গুলোর প্রবেশ পথেও নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্প্রে করার ব্যবস্থা বা দোকানের সামনে নেই কোনো সচেতনামুলক লেখা ।
এ বিষয়ে পাপিয়া বস্ত্রায়ের ম্যানেজার জানান ক্রেতাদের সাথে কথা বলতে হয় জন্য মাস্ক খুলে রেখেছি । জিএস সুপার মার্কেটের রাজ ফ্যাশান স্টোরের বিক্রেতা সিয়াম জানান সবাই মাস্ক ছাড়া তাই সেও মুখে মাস্ক লাগাইনি ।
উল্লাপাড়া পৌর বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহিদুজ্জামান কাকন জানান এই করোনা কালীন সময়ে বনিক সমিতির পক্ষ থেকে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে, এছাড়াও সমিতির সদস্যরা মার্কেটে গিয়ে সচেতনভাবে চলার পরামর্শ দিচ্ছে ।
পৌর মেয়র এস এম নজরুল ইসলাম জানান প্রতিনিয়তো রাস্তার উপর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয় । তার পরেও এরা সুযোগ পেলেই রাস্তার উপর ছাতা ফুটিয়ে দোকান পেড়ে বেচাকেনা শুরু করে ।
করোনার এই মহামারির মাঝেও স্ত্রী-সন্তানদের সাথে ঈদ আনন্দ উপভোগের জন্য পছন্দের জামা-কাপড় কেনাকাটা করতে এসে, শহরের দোকানগুলোতে উপচেপরা ভিরের মাঝে পকেটমারের দৌরাত্ম্যয় অতিষ্ট । মামুন নামের এক ভুক্তভোগী বলেন কিছু কেনাকাটার আগেই পকেটমারেরা সুকৌশলে ক্রেতাদের পকেট থেকে তুলে নিচ্ছে অর্থ ও মোবাইল ফোন । এতে সর্বসান্ত হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ঈদ মার্কেটের ক্রেতাগণ ।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক কুমার দাস জানান পুরো মার্কেট জুরে পুলিশ দিনভোর টহল দিচ্ছে । প্রথম দিকে বিচ্ছিন্ন ভাবে দু-একটি ঘটনা ঘটলেও বর্তমানে ওই পকেটমারের সমস্যা আর নেই । ইতি মধ্যেই ৫ জন পকেটমারকে ধরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদ বলেন প্রত্যেক দিন মার্কেট গুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে । মানুষদের মাঝে মাস্ক বিতরণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করা সহ সচেতনামূলক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে । এ ছাড়াও প্রত্যেকটি দোকানদারদের আগত ক্রেতাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্প্রে করার ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনা দেওয়া আছে ।