বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো: শারফুদ্দিন আহমেদ নির্মাণাধীন ৭০০ শয্যাবিশিষ্ট দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন।
আজ সোমবার উপাচার্য সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে একটি সভা করে সংশ্লিষ্টদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে সামগ্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করার নিদের্শনা প্রদান করেন।
উপাচার্য বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিরা করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট প্রাদুর্ভাব ও সংকটের মাঝেও দিনরাত পরিশ্রম করে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন,তাদের গতিশীল কর্মকান্ডে মহান বিজয় দিবসের ৫০ বছর পূর্তিতে এই হাসপাতালটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করতে পারবেন বলে আশা করছি।
পরিদর্শনকালে এবং সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো: জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন,কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান,সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ জুলফিকার রহমান খান,রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, উপ- প্রকল্প পরিচালক সহকারী অধ্যাপক ডা. মোঃ নূর ই এলাহীপ্রমুখ।
সভায় জানানো হয় ইতোমধ্যে সুপার স্পেশালাইজড হাসাতালের মূল ভবন ২তলা বেজমেন্টসহ ১১ তলা ভবনের সকল ফ্লোর নির্মাণসহ কাঠামোগত (স্ট্রাকচারাল) কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। ভবনে ইটের কাজ (ব্রিক ওয়ার্ক), প্লাস্টার, ফিনিশিং ওয়ার্ক, বেস প্যানেল, টেরাকোটা প্যানেল, এলমোনিয়াম লুবার, এলমোনিয়াম শীটসহ অন্যান্য কাজসহ সামগ্রিক কার্যক্রম প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের ভবনের অভ্যন্তরে ফিনিশিং কাজ চলছে।
সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ জুলফিকার রহমান খান জানান, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটিতে একজন রোগী একই সেন্টার থেকে সব ধরণের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। হার্ট, কিডনী, লিভারসহ বিভিন্ন ধরণের জটিল রোগে অক্রান্ত রোগীদের একই সেন্টার থেকে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। বিশ্বমানের সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতিতে সমৃদ্ধ থাকবে হাসপাতালটি। রোগীদের সকল রেকর্ড রাখা হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এই হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের ভিত্তিরপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নির্দেশে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল হবে একটি রোগী বান্ধব সবুজ হাসপাতাল। হসপিটাল ইনফরমেশন সেন্টার চালু করার মাধ্যমে রোগী ও হাসপাতাল পরিচালনা হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে। এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি স্বাস্থ্য সেবার এক নতুন দিগন্ত উম্মোচন করবে।