আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, বিচার বিভাগসহ দেশের সকল সেক্টরে ই-প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থার যথাযথ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনায় জনগণের অংশ গ্রহণ বাড়বে ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
আজ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত ই-প্রকিউরমেন্ট বিষয়ক অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক খোন্দকার মূসা খালেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) বিকাশ কুমার সাহা এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. গোলাম কিবরিয়া বক্তৃতা করেন।
অধস্তন আদালত শক্তিশালীকরণে আইন ও বিচার বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩৩ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার অংশগ্রহণে তিন সপ্তাহব্যাপী এ প্রশিক্ষণ চলবে।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, সরকারের প্রকিউরমেন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে দুর্নীতি হ্রাস করে দ্রুত সময়ে সঠিক আইটেম, সঠিক মূল্যে পাওয়ার ক্ষেত্রে ই-প্রকিউরমেন্ট এর গুরুত্ব অপরিসীম।
আইনমন্ত্রী বলেন, অ্যানালগ পদ্ধতিতে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত বিষয়ে দুর্নীতির সুযোগ থাকে। দুর্নীতি দূর করে সকল সেক্টরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাকে অধিক স্বচ্ছ ও জনমুখী করার লক্ষ্যে গত ১০ বছরে সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে নানা সংস্কার আনা হয়েছে। বিদ্যমান আইন ও বিধিমালা সঠিকভাবে অনুসরণ করেই দক্ষতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে সময়মতো সরকারি ক্রয় কার্যাবলি সম্পাদন করতে পারলে দুর্নীতি কমবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে বলে মনে করেন তিনি ।
আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে ই-প্রকিউরমেন্ট পদ্ধতি চালু করা হয়েছে যার মাধ্যমে দক্ষতা, স্বচ্ছতার পাশাপাশি বেড়েছে প্রতিযোগিতা।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারকগণের বিচার কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকৃতির সরকারি ক্রয়ের সঙ্গে জড়িত থাকতে হয়। সেজন্য তাদেরকে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত আইনি কাঠামো, আধুনিক সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনা, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সাইকেলের বিভিন্ন ধাপ, প্রকিউরমেন্ট প্রসেস ও প্রকিউরমেন্ট প্লানসহ বিভিন্ন বিষয়ে মৌলিক ধারণা অর্জন করতে হবে।