আজ বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপের এলিমিনেটর ম্যাচে সতীর্থ নাসুম আহমেদের সাথে অশোভন আচরণ করেছেন বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে খেলা চলাকালীন মেজাজ হারিয়ে নাসুমের উপর চড়াও হয়েছিলেন মুশফিক।
নাসুমের সাথে এমন আচরনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুশফিককে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নাসুমের সঙ্গে বিবাদের ব্যাপারে মুশফিক বলেন, ‘সবকিছু ঠিক আছে। জয়ের মধ্যে থাকলেও ব্যক্তি ও দল হিসেবে আমাদের উন্নতির জায়গা আছে আরও। আগামীকাল আরেকটি ম্যাচ আছে, আশা করি জিতবো, দেখা যাক। আশা করি দল হিসেবে খেলতে পারব।’
ক্যাচ নেয়ার সময় নাসুমের সাথে প্রায় সংঘর্ষ হতে চলেছিলো মুশফিকের। ম্যাচে দু’বার নাসুমের উপর চড়াও হয়েছিলেন তিনি।
ম্যাচে বরিশালের ব্যাটিং ইনিংসের ১৩তম ওভারে নাসুমের করা দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারেন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন। এতে নাসুমের উপর রাগ দেখান মুশফিক।
পরের ডেলিভারিতে রান আউটের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন নাসুম। মিড উইকেট থেকে দৌঁড়ে বল মেরেছিলেন মুশফিক। কিন্তু সেটি রান আউট করতে ব্যর্থহন নাসুম। ফলে জীবন পান আফিফ।
টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গেছে নাসুমের মুখমন্ডলে ঘুষি মারার ভঙ্গি করেছিলেন । যা সকলকে অবাকই করে।
আফিফের উইকেটটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণই ছিলো ঢাকার কাছে। কারন বরিশালের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন আফিফ। ব্যক্তিগত ৫৫ রানে আফিফের আউটের পরও মুশফিকের উদযাপনে রুক্ষতা লক্ষ্য করা যায়।
ইনিংসের ১৭তম ওভারের শেষ বলে স্কুপ শট খেলেছিলেন আফিফ। বোলার ছিলেন বাঁ-হাতি পেসার শফিকুল ইসলাম। তার শটটি ভালোভাবে ব্যাট-বলে না হওয়ায় বাতাসে উঠে যায়। শর্ট থার্ড ম্যানে থাকা নাসুম আহমেদের জন্য ক্যাচটা সহজই হওয়ার কথা ছিল। বল ধরতে এগিয়ে আসেন মুশফিক ক্যাচ ধরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন মুশফিকও। পরে মুশফিকই ক্যাচটি ধরেন। এতে আউট হন আফিফ। কিন্তু আফিফের আউটের উদযাপন না করে উল্টো নাসুমের উপর চড়াও হন মুশফিক। হাত নেড়ে মারার ভঙ্গি করেন তিনি।
ম্যাচ শেষে নাসুমের সাথে মুশফিককে আনন্দের সাথে কথা বলতে দেখা গেলেও, মুশির বিব্রতকর আচরণ সকলের কাছে অবাক করেছে।