করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় আতঙ্কিত বা ভীত না হয়ে মানবতার কল্যাণে স্বাস্থ্যসেবাকর্মীদের নিয়োজিত হওয়ার আহবান জানিয়েছেন চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) আয়োজিত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এ আহবান জানান।
বিএমএ ভবনের শহীদ শামসুল আলম খান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএমএ ও স্বাচিপ নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘করোনাভাইরাস ছড়ানোর ধরন দেখে আমরা আশঙ্কা করছি, দেশে এর সংক্রমণের মাত্রা আরও অনেক বেড়ে যেতে পারে।’
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও আগামী দিনের করণীয় শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।
ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, ‘ইতালি-যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর সব দেশ রোগটি নিয়ন্ত্রণে বেসামাল অবস্থায় রয়েছে। এ ধরনের মহামারির সময় দেশের সব গণমাধ্যম, সাধারণ জনগণ, রাজনৈতিক শক্তি, প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মীদের এবং বিশেষ করে স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহসের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের ধরণ অনুযায়ী এটা অনুমান করা যেতে পারে যে, এই রোগটি যেকোনো সময় আমাদের দেশে সংক্রমণের মাত্রা অনেক বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই আতঙ্কিত ও ভীত না হয়ে সারাদেশের নাগরিকদের অনুরোধ করবো আপনারা শান্ত থাকুন। অযথা যত্রতত্র ঘোরাফেরা করবেন না, বিয়ে-বাড়ি ও ধর্মীয় সমাবেশসহ জনসমাবেশ এড়িয়ে চলুন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবাকর্মীরা ভীত না হয়ে মানবতার কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে।’
বিএমএ সভাপতি বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হবেন না। ধর্মীয় প্রয়োজনে যতটুকু দরকার সেই পর্যন্ত সাবধানে যাতায়াত করবেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। বিদেশ থেকে আসা আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ম মেনে ১৪ দিন বাড়িতে থাকতে উৎসাহ যোগান এবং বিদেশ থেকে আগত ব্যক্তির সান্নিধ্যে যারা আসবেন তারাও যেন ১৪ দিন নিজগৃহে একান্তে অবস্থান করেন। প্রয়োজনে আইইডিসিআর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুম কিংবা নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।’
আইআইডিসিআর’র সবশেষ হিসাবে, দেশে এখন পর্যন্ত ২৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ২ জন, সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৫ জন।