করোনা বিষয়ে নির্দেশ অমান্যকারীকে এবং কেউ তথ্য গোপন করলে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।এদিকে শনিবার সকালে ইটালি থেকে দেশে ফেরত ১৪২ জনের সবাইকে রাজধানীর আশকোনা হজ্বক্যাম্পে বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইনে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
পরবর্তী সময়ে আক্রান্ত দেশগুলি থেকে কোন যাত্রী দেশে এলে তাকেও বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইন করা হবে বলে জানান তিনি।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক টেলিফোনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদসহ সংশ্লিষ্টদের এই নির্দেশনা দেন।উল্লেখ্য, আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ইতালির রোম থেকে দুবাই হয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের নম্বরের একটি ফ্লাইটে করে এই যাত্রীরা ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এসে অবতরণ করেন।ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল আহসান বাসস’কে আজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ১৪২ জন যাত্রী নিয়ে এমিরেটসের (ইকে ৫৮২) ফ্লাইটটি ঢাকায় এসে অবতরণ করে।
সকালে শাহজালাল বিমানবন্দর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. শাহারিয়ার সাজ্জাদ বাসস’কে এ সব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ওই সব ব্যক্তিদের আশকোনা হজ ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে। সম্ভাব্য করোনা-ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে এই ব্যক্তিদের সেখানে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।এদিকে,আজ দেশে ফিরে আসা এই ১৪২ ইতালিপ্রবাসী রোম থেকে রওয়ানা হওয়ার আগে সেখানে থার্মাল স্ক্যানারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। সেখানে তাদের কারও শরীরে জ্বর ছিল না। থার্মাল স্ক্যানারে জ্বর মাপা হলেও কারও শরীরে জ্বর ধরা পড়েনি। ফিরে আসা যাত্রীদের প্রত্যেকের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। সেখান তাদের জ্বরমাপাসহ শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও নাম, ঠিকানাসহ তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।আজ সকালে আশকোনা হজ ক্যাম্পে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইতালি থেকে যারা দেশে ফিরেছেন তাদেরকে এক নজর দেখার জন্য পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনরা মূল গেইটের সামনে ভিড় জমায়। এসময় পুলিশ ও সরকারের সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা কঠোর নিরাপত্তায় দায়িত্বপালন করতে দেখা গেছে। কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
এর আগে চীনের উহান থেকে আসা বাংলাদেশীদের হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। কারও মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ না পেয়ে ১৪ দিন পর তাদের বাড়িতে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়।